চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ প্রাথমিক শাখার শিক্ষক তানজিনুল ইসলাম। তিনি অর্থনীতি বিষয়ে মাস্টার্স শেষ করে বিগত ১০ বছর ধরে এই পেশায় আছেন। পাশাপাশি উপজেলার সকল যুবকদের নিয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাথে বেকারত্মদূরীকরণে কাজ করেন তিনি।কিন্তু করোনার প্রকোপে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বলা যায় যেমন সম্পূর্ণ রূপে কর্মহারা শিক্ষকরা তেমনি দিশেহারা যুবকেরা। দেখা যাচ্ছে না কোন আাশার আলো। আর্থিক সংকট ও পেটের ক্ষুধা তাড়া করছে প্রতিনিয়ত।
এহেন পরিস্থিতিতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও আর্থিক স্বচ্ছল বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়ে গত মাসে শুরু করেন তার টি স্টোর। এতে বিক্রি করছেন সকল ধরনের চা ও নাস্তা উপকরণ এবং দুগ্ধজাত শিশুখাদ্য।
এ বিষয়ে তার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে অধিকাংশ মানুষ কর্ম হারিয়েছে। চলছে সরকার ঘোষিত লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে বেকারতত্বের হার বাড়ছে হু হু করে। কিন্তু পেট তো পরিস্থিতি বুঝে না। আয়ের পথ বন্ধ থাকায় নিজের পরিবারকে বাঁচানো এবং যুবকদের নতুন পথ দেখানোর লক্ষ্যে আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। সকলের সহযোগিতা বলবৎ থাকলে সামনে এগিয়ে যাওয়া যেমন সহজ হবে তেমনি যুবকদের মিলবে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি।
উল্লেখ্য যে, তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রথম নিবন্ধিত সংগঠন চকরিয়া যুব পরিষদ সভাপতি হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব পালন করছেন।
তার এহেন প্রচেষ্টায় সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।