কক্সবাজারের চকরিয়ায় দিনদুপুরে বসত বাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ২০/২২ জনের সশস্ত্র মুখোষ পরিহিত ডাকাতদল বাড়িতে পুরুষ লোক না থাকার সুযোগ নিয়ে প্রথমে বাড়িতে ঢুতে মা-মেয়েকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। পরে সশস্ত্র ডাকাতদল ঘন্টাব্যাপী লুটপাট চালিয়ে বাড়ির আলমিরা ভেঙ্গে নগদ দুই লাখ টাকা, মেয়ে ও পুত্রবধূর ৭ ভরি স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৭ লাখ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।
সোমবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পাগলিরবিল কোনাপাড়া এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এ দূধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দিন দুপুরে ডাকাতির খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ পাশর্^বর্তী গ্রামের কয়েকশত লোক এগিয়ে এলে সশস্ত্র ডাকাতদল পাশর্^বর্তী পাহাড়ে ঢুকে চলে যায়।
ডাকাত কবলিত বাড়ির গৃহকর্তা নুরুল ইসলাম (৫২) বলেন, আগামী কোরবানীর ঈদের পর আমার মেয়ের বিয়ে অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। সে উপলক্ষে গত কয়েকদিন আগে স্বর্ণলংকার, শাড়ি ও বিভিন্ন মালামাল ক্রয় করি। বিয়ের আনুসাঙ্গিক খরচ মিটানোর জন্য বাড়িতে দুইলাখ টাকাও জোগাড় করে রাখি। বিয়ের অন্যান্য সরঞ্জামাধি জোগাড় করার জন্য আমি ও আমার ছেলে বাড়ির বাইরে থাকার সুযোগ নিয়ে ২০/২২ জনের একদল সশ¯্র মুখোষ পরিহিত ডাকাতদল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমার বাড়িতে হানা দেয়। পরে ডাকাতদল আমার স্ত্রী পারেছা আক্তার ও ও কন্যা রেশমা খাতুনকে মারধর পূর্বক অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘন্টাব্যাপী লুটপাট চালায়। এ সময় সশস্ত্র ডাকাতদল বাড়ির আলমিরা ভেঙ্গে নগদ দুই লাখ টাকা, ৭ ভরি স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৭ লাখ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নেয়। দিন দুপুরে ডাকাতির খবর পেয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছলিম উল্লাহসহ পাশর্^বর্তী গ্রামের কয়েকশত লোক আমার বাড়ির দিকে এগিয়ে এলে সশস্ত্র ডাকাতদল পাশর্^বর্তী পাহাড়ে ঢুকে চলে যায়।
গৃহকর্তা নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ডাকাতদল তাড়াহুড়ো করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মুখোষ খুলে যাওয়ায় আমরা বেশ কয়েকজন ডাকাত দলের সদস্যকে চিনতে পেরেছি। তাদের মধ্যে খুটাখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাতগরিয়া পাড়া এলাকার মৃত আহামদ ছোবহানের ছেলে জিল্লুর রহমান, ও তারভাই মান্নান, একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে আরিফ, ও মুজিবুর রহমানের ছেলে আগুন। এছাড়া ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বালুচর এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে মিজবাউর রহমান সাগর, একই এলাকার মান্নানের ছেলে বাহার, একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উলুবুনিয়া এলাকার নাজেম উদ্দিনের ছেলে হাসান ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজপাড়া এলাকার রবিউল উল্লেখযোগ্য। এ ঘটনায় গৃহকর্তা নুরুল ইসলামের স্ত্রী পারেছা আক্তার বাদি হয়ে সোমবার বিকালে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, এ ধরনের ঘটনার কোন অভিযোগ থানায় আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।