নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শওকত রানা লাবু বলেছেন আমার জনপ্রিয়তা ক্ষুন্ন করতেই আমার প্রতিপক্ষরা আনছার আলী নামে এক ব্যক্তি দিয়ে থানায় হয়রানিমূলক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার ইউনিয়ন চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, অত্র ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান মো. শওকত রানা লাবু দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সকল ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট, ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষ রোপণ করে এলাকার উন্নয়নে নজির স্থাপন করেন। তিনি বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীকার্ডসহ বিভিন্ন সরকারি ভাতা অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যতিরেখে জনগণের মাঝে বিতরণ করে সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি কোন প্রকার ভাতা প্রদানে অর্থ নেন না এবং অন্যান্যদের বিরত থাকার জন্য মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন। মূলতঃ চেয়ারম্যানকে হয়রানি করার জন্য গত নির্বাচনে তার কাছে পরাজিত প্রার্থীদের ইন্ধনে সুবিধা নেয়ার জন্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিতভাবে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
চেয়ারম্যান লাবু বলেন, ঘটনার দিন বেলা ১১ টার সময় থেকে থানার গোলঘরে এস আই আকরাম হোসেনের সাথে জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমার গ্রামের মৃত কাসেম আলীর জমির ভাগ বন্টন মিমাংসা করতেছিলাম। বেলা ২ টার দিকে বাদীর বাড়ির পাশের মোজাফফর ভাই আমাকে ফোনে বলে শাহিনকে মারপিট করা হচ্ছে। সাথে সাথে ওসি সাহেবের অফিসে যাই। তিনি বাহিরে থাকায় ফোন দিতেই তিনি বলেন পুলিশ পাঠাচ্ছি। পরে মোজাফফর আবার ফোনে বলে শাহিনকে মারপিট করা হচ্ছেই। উদ্ধার না করলে মারা যাবো। তখন আমি সেখানে গ্রাম পুলিশ পাঠাই। সেখান থেকে প্রাম পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পরিষদে রাখে। ইতিমধ্যে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে গেছে। তখন শালিসে বোর্ড বসিয়ে তিনটার দিকে পরিষদে হাজির হই। রানীনগর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে শাহীন এক স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে তার অশ্লিল ছবি মোবাইলে ধারণ করেছে। পুলিশ অফিসার ফোন উদ্ধার করে তার সত্যতা পায়। পুলিশ তখন এসিল্যান্ড স্যারের কাছে নিয়ে গেলে তার ১৪ দিনের জেল হয়। পুলিশ নিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমাকে বলে। আমি সেই কুপ্রস্তাব অস্বীকার করি।
আমি সেই প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করায় তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইন্ধনে আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্নিত হয়ে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। কিছু রাজনৈতিক দেউলিয়া নেতা নামের কলঙ্ক ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। কিন্তু নাজিরপুরবাসি সব জানেন কে কেমন?। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে জনপ্রিয়তা রুখতে পারবেনা। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। প্রানপ্রিয় নেতা আলহাজ¦ অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের নির্দেশে এলাকার ১০০ কোটি টাকার কাজ চলমান আছে। যেটা দ্রুত সম্পন্ন করতে চলেছি। অসহায় মানুষের ভালবাসা নিয়েই পথ চলতে শিখেছি। অসহায় মানুষের পাশেই আজীবন থাকতে চাই।#