সাইফুল ইসলাম বাবুলঃ
পেকুয়া একটি উর্বর ভূমি। অতীত কাল থেকে ধন সম্পদে ভরপুর, মেধা মননে অনন্য। বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহৎ কর্মযজ্ঞ পেকুয়াতে। মনে হয় উড়ছে টাকা আর টাকা। ভিতোর বাহির একাকার যড়যন্ত্র কুট কৌশল এমন কোন ঘৃণ্য বিষয় নেই যে, পেকুয়ার রাজনীতিতে হচ্ছেনা।
পেকুয়ার সন্তানরা তোমরা কি খেয়াল করছো, কি চলছে!
নীরব রাজাখালী ভালো লোকদের মূখে কুলুপ।তাই বলা যাচ্ছেনা।নৌকা প্রতীকের বিরোদ্ধে প্রার্থী হয়ে ভোট করে এখন নৌকার মাঝি সাজতে চায়। কেনো চাইবেনা। যদি তার পয়সায় গুটি কয়েক লোকের হাত খরছা হয়। আবার বড় মিটিংয়ে মানুষ দরখার তাকে প্রয়োজন কারন গাড়ী ভাড়া দিতে হবে তাই। খাওয়ার জন্য গরু মহিষ বোষ যা চাই তা দিবে। তাই তাকে একটা হাত ওয়ালা চেয়ার দিলে মন্দ কি? ডাকাত ছিলো, খুনী ছিলো থাকতেই পারে এখনতো নেই যেনো ফুলন দেবীর এমপি হওয়ার মতো। মামলা ছিলো, একসময় অন্য দলে ছিলো, এখনতো নেই।তবে ছাগলের চামড়া পরিহিতো কেক শিয়াল কিনা দেখুন ঠিক মতো হুক্কাহুয়া ডাক দিতে পারে।দলে বা সমাজে কি এতোই দৈন্য পড়ছে এসব Rubbish খেতে হবে। অতীতের কূকর্ম ঢাকতে তারা চাইলে মোটা অংখের টাকা খরচ করতে পারে সেই শ্বশুর উত্তরাধিকারী নেতা টাকার জন্য এখন দলের পদবী বিক্রি শুরু করেছে। ফলে তৃণমূলের নেতা কর্কীদের হৃদয়ে রক্ত হরন হচ্ছে। যুগ যুগ ধরে যাদের চৌদ্দ গোষ্ঠীরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছে তাদের দিয়ে নাকি দলের মঙ্গল হবেনা।তাই এখন অন্য দলের থেকে নতুন আমদানী করে ধানের চাষ করতে হবে।ফলে সার,বিষ বেশী লাগবে নেতৃত্বের বিভিন্ন স্তরে টাকাও চলে যাবে।
শীল খালীকে নেতা স্থানান্তর করে জায়গা খালি করা হচ্ছে কার স্বথে জানিনা।ভালো হলেতো ভালোই কিন্তু কিছু অঙ্গ সংগঠের কমিটি হয়েছে তাতে অনুপ্রবেশ কারির সংখ্যা বেশী। এখন নাকি সেখানে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা চলছে।দেখি গোলমাল করে টাকা উপার্জন হয় কিনা।
বারবাকিয়াতে ডজন খানেক হেভীওয়েট নেতা লড়াই লড়াই ভাব।কিন্তু পিছনে ঢোলী নেই কাকে কি ভাবে সেট করা হবে তাই নিয়ে ব্যস্ত।তবে হুজুর নিয়ে খেলে মনে হয় এখন ক্লান্ত।
টৈটংয়ে অভাব নেই। তবে অরোপিতো নেতৃত্ব এখন বিকলে। তাদের মাথায় গ্রুপিং চিন্তা। তাই অর্ধেক নেতা কর্মী রাজনৈতিক পরিচয় থেকে বঞ্চিত।।
পেকুয়া সদরে ইতিমধ্যে মনগড়া ওয়ার্ড কমিটি হয়েছে। ফেসবুকে প্রচার দিয়ে সম্মেলন সম্পন্ন। যে কোনো প্রকারে নিজের লোক আসলেই হলো। তবে এখন নাকি তাদেরও বিশ্বাস করতে পারচ্ছেন না। তবে সবাই সদর ইউনিয়নের সম্মেলন চায়।
মগনামাকে মগের রাজ্যের ঘোষণা দেয়া বাকী।নির্বাচিতো সভাপতির স্থলে অন্যজনকে মনোনীতো করেছে। এমন একজনকে প্রতিষ্ঠিতো করতে ব্যস্ত যার মাথার উপর কার ছবি এবং কোন প্রতীক সবাই জানে। শুধু টাকার ম্যাকানিজনমে তিনি অল পাটি নো পাটির সেক্রেটারী। তার দৌরাত্ম্যে তৃণমূল কর্মীরা ঘর ছাড়া অনেকে শহরে রিকশা চালায়।তার স্পধাতো থকবেই কারন নেতারা তার টাকা ছাড়া পাটি চালাতে পারেনা। সামন্য প্রয়োজনে নেতারা তার ধারস্থ হন। হয়তো মোটা অংখের টাকা দিয়ে তাকে কোনো জায়গায় সেট করা যাবে! একটুও কি ভাববার সময় নেই? তার টাকা গুলো কি ভাবে আসলো? অতীতে মগনামায় ডাকাত নিধন ও অস্ত্র নির্মূল চলতো।সেখানে নাকি অস্ত্রের খাড়ি কাটা বন্ধুক হাতে বীরেরা প্রস্তত।তাই যারা একটু রাজনীতি করেন তারা বলছে পালাও পালাও। তবে এসব কিছুর পরও দায়মুক্তি হলে ভালো।
সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে উজানটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নাকি সম্মেলন বিহীন কমিটি দেওয়া হয়েছে। তথ্যমতে সেখানে মোটা অংখের টাকা লেনদেন হয়েছ। অতীতেও এরকম ক্যারিশমা চলছে। এর আগের সম্মেলনে কান্সিলর তালিকা টেম্পারিং করে অনেকের নাম বাদ দিয়ে অন্যদলের লোকজনকে নিয়ে কমিটি করে নেতৃত্ব হাতে নেওয়া হয়েছে। এখন একটু ভিন্ন কায়দায়।এতো কষ্টের দরকার কি? টাকা দিলেই হলো। হে নেতৃবৃন্দ তাদের খোঁজ খবর কি নিয়েছেন, মামলা বানিজ্য, তদবির বানিজ্য, নেতাদের কানকথা বলে অন্যের ক্ষতি করা। উজানটিয়া খালের চাঁদাবাজী, দখলবাজী। নিজের ছেলে এবং ভাইদের দিয়ে খালের মধ্যে টোল আদায়। মোবাইলে মামলা দিবে বলে হুমকি দিয়ে টাকা আদায়। সরকারি জমি বিক্রি করে নিজ নামে পাড়া বসানো, সরকারি খাস জমিতে বাসভবন নির্মান। থানার দালালী সাধারণ নেতা কর্মীদের দল থেকে বাদ দিয়ে ভিন্ন দলের লোকজন দিয়ে দল সাজানো তাদের নিত্যুকারবার। অন্যজনকে সবাই ছিনে সে এবং তার ভাইয়েরা খালে নালে কি করে? তাই তাদের পদ দরকার, টাকার দরকার যে কোনো মূল্যে। কয়টা ভালো কাজের উদাহরণ তাদের আছে? এইসব নেতার জন্য মাটির নিচের ঝি ঝি পোকাও বিরক্ত। দলে মনোনয়ন না দিলেও নাকি নির্বাচন করবে, ভোট কাটবে। তার হাত নাকি খুবই লম্বা। চৌদ্দ গোষ্ঠী অন্যদল করতো এখন আবার ছাগলের ছামড়া পরছে। দলের লোকদের টাকার প্রয়োজন টিকাদরী করুক, ব্যাবসা করুক ক্ষতি নেই কিন্তু পদ বিক্রি পদের ক্ষমতা ব্যাবহার করে টাকা রোজগার এ তো রাজনৈতি মা-বাবাকে মেরে ফেলা।হে নেতৃবৃন্দ ক্লিন ইমেজের ভালো লোক গুলোকে আপনারা দেখছেননা কেনো? পীরের দরবার বানালে আপনাদের পায়ে টাকা দিয়ে আসবে। সুযোগ পেলে অন্য পীরের কাছেও যাবে। দল হবেনা, রাজনীতি হবেনা, অযোগ্যদের পদ দেয়া মানে ডাকাতের হাতে দা দেয়া। আর কতো দা বিক্রি করবেন কর্মকার যে ভাতে মরবে। আপনাদের লোভে পেকুয়ার বিশাল কর্মযগজ্ঞ থেকে পেকুয়ার মানুষই বঞ্চিত হবে।