ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈলে পৌর শহরের অন্তর্গত শিবদিঘী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পাশে সরকারী খাস জমি নিয়ে চলছে প্রভাবশালী মহলের অবৈধ দখলের খেলা।
২৫শে জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১১ টায় ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল পৌর শহরের অন্তর্গত শিবদিঘী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পাশে সরকারী খাস খতিয়ানে ১৩৬নং দাগে পরিত্যাক্ত জমি দখল নিয়ে চলছে তেলেসমাতি।
এই খাস পরিত্যাক্ত জমিতে আলহাজ মোবারক আলীর পুত্র মফিজুল ইসলাম
স্হাপনা নির্মান সহ গ্যারেজ করেছে।
এ বিষয়ে মফিজুল ইসলাম জানায় সরকারী খাজ জমি পরিত্যাক্ত সাড়ে ১২ শতক জমি সরকারের কাছে আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ ইং সাল থেকে দখলে রেখেছি এবং এ বিষয়ে সরকারের সাথে আদালতে মামলা চলছে
তবে পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান স্হাপনার বিষয়টি জানতে পেরে তিনি নিজে সরেজমিনে গিয়েপরিদর্শন করেন এবং গোন্ডোগোল
এড়াতে পুলিশকে অবহিত
করলে পুলিশ ঘটনাস্হলে এসে
হট্রগোল নিয়ন্ত্রন করেন।
পাবলিক হট্রগোল থেকে যেন সংঘর্ষ না বাধে সেজন্য পুলিশ কিছুক্ষন মোতায়েন থাকে।
স্হানীয় সুত্রে জানাযায় এই জমিতে বিগত১৫/২০ বছর আগে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির একটি অফিস ছিল যা এখনো বিদ্যমান। অন্যদিকে রিক্সা সমিতির সভাপতি খাইরুল ইসলাম সহ স্হানীয়রা জানায় রানীশংকৈল পৌরসভার যাত্রা হয় এখান থেকে তবে দীর্ঘদিন যাবৎ জায়গার সংকুলানের অভাবে পৌর কার্যালয়টি পাঁচপীর গোড়স্হানের সন্নিকটে রানীশংকৈল পীরগঞ্জ রোর্ডের পার্শ্বে ভাড়া দিয়ে পৌরসভা কার্যালয়টি চলে আসচ্ছে।
জানাযায়, রানীশংকৈল পৌরসভার প্রথম কার্যালয় ছিল এই জমিতে যা থেকে আজ পৌরসভার সৃষ্টি।
তবে রানীশংকৈল পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোস্তাফিজুরের সাথে যোগোযোগ করা হলে তিনি বলেন ১৩৬ নং খাস খতিয়ানের দাগের বিপুল পরিমান সম্পদ প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী( ভূমি) কমিশনার ঈন্দ্রোজিৎ সাহা বলেন,এ বিষয়টি নিয়ে হাইকোটে একটি মামলা চলছে।তবে মেয়র তার ছেলের নামে কবুলিয়ত নামা ১০ শতক জমি আছে তিনি তো এখানে আসতেই পারেন।