আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারণায় পুরো দমে মাঠে নেমেছে প্রার্থীরা। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে একই ওয়ার্ডে ভোট যুদ্ধে নেমেছে মা জীবন নাহার ও আপন মেয়ে বুলবুলি আকতার। এরি মধ্যে নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন এই মা-মেয়ে। এক কথায় প্রচার-প্রচারণায় পিছিয়ে নেই কেউ। তবে মা-মেয়ের নির্বাচনী লড়াইয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে।
ঘটনাটি দেশের সর্ব উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে। তবে মায়ের অভিযোগ মেয়ে বুলবুলি আকতার বিষয়টি পরিবারসহ কারো সাথে আলোচনা না করেই মায়ের বিরুদ্ধে একই ওয়ার্ডে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী ১১ নভেম্বর ব্যালট পেপারের মাধ্যেমে তেঁতুলিয়া উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে প্রার্থীরা তাদের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ৩নং তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে মোট ৫ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে লড়াই করছেন। এর মধ্যে শতদল আদর্শ গ্রাম থেকে হেলিকপ্টার মার্কা নিয়ে জীবন নাহার ও বক মার্কা নিয়ে বুলবুলি আক্তার নামের মা-মেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
শতদল আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা লাবলু বলেন, দুই বারের নির্বাচীত মহিলা সদস্য জীবন নাহার। তিনার মাঠ পর্যায়ে অবস্থান ভালো। তবে এরি মাঝে তিনার মেয়ে বুলবুলি একই ওয়ার্ডে ভোট করায় স্থানীয়দের মাঝে একটু মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেন এমনটা হলো কেও বুঝতে পারছে না।
একই ইউনিয়নের মাগুরা আদর্শ উচ্চ গ্রামের জরিনা বেগম বলেন, স্বামী হারা জীবন নাহার পুরাতন ছিল ভালো ছিল। মা- মেয়ে এক জায়গায় দারালো এটা কেমন দেখাচ্ছে! এখন একই পরিবারের দুইজন হওয়ায় সমস্যা হয়েছে, কাকে রেখে কাকে ভোট দিব।
সরেজমিনে এ নিয়ে কথা হয় মা জীবন নাহারের সাথে। তিনি বলেন, বর্তমানে মুরব্বি হিসেবে আমার অবস্থান অনেকটাই ভালো আছে। দুই বার নির্বাচীত হওয়ায় অনেক ভালো কাজ করেছি। যোগ্য হওয়ায় ভোটাররা আমার সাথে আছে। ইনশাআল্লাহ জয় হবে। তবে মেয়ে বুলবুলি কারো সাথে বিষয়টি শেয়ার না করে স্বামীর কথায় ভোট করছে। তার ভোট করার ইচ্ছা, আমাকে আগে বল্লে আমি আমার জায়গা থেকে বসে যেতাম।
এদিকে বুলবুলি আকতার বলেন, মা ও স্থানীয়দের সাথে আলোচনা করেই ভোটের মাঠে নেমেছি। তবে কার কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা আছে তা ভোটের দিনে জানা যাবে।
তবে একই পরিবারের দুই মা- মেয়ের ভোট যুদ্ধে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিকটতম আত্মীয় স্বজন ও ভোটাররা।