পেকুয়ায় এক রাতেই পৃথক ৫ টি স্থানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় একটি গ্যারেজ থেকে অটোরিক্সার ২১ টি ব্যাটারী, দোকান থেকে একটি এলইডি, বসতবাড়ি থেকে গৃহপালিত পশুসহ কয়েক লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন মূল্যবান দ্রব্যাদি লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
১৭ নভেম্বর ভোর ৪ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিকদারপাড়ায় চুরির এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। স্থানীয় সুত্র জানান, ওই দিন ভোর ৪ টার দিকে সিকদারপাড়ায় পৃথক ৩ টি স্থানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। একই দিন গভীর রাতে পার্শ্ববর্তী বাইম্যাখালী গ্রামেও দুটি দোকানে চুরি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ওই দিন হেফাজ উদ্দিনের টমটমের গ্যারেজে চোরের দল হানা দেয়।
এ সময় ওই গ্যারেজ থেকে ২১ টি টমটমের ব্যাটারী লুট করে নিয়ে যায়। একই স্থানে নওশাদের কুলিং কর্ণার থেকে একটি এলইডি নিয়ে যায়। এ ছাড়াও সিকদার পাড়া এলাকায় মৃত খোরশেদ আলমের বাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়েছে। বিধবা আয়েশা বেগম জানান, আমার বাড়ি থেকে একটি গৃহপালিত পশু চুরি হয়েছে। যার মূল্য লক্ষাধিক টাকা। একই দিন গভীর রাতে সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী গ্রামের দুটি দোকানেও চুরি সংঘটিত হয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, ওই দুটি দোকান থেকে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
টমটম গ্যারেজের মালিক সিকদারপাড়ার মৃত নুর আহমদের আহমদের পুত্র হেফাজ উদ্দিন জানান, কয়েক বছর আগে থেকে আমি এখানে গ্যারেজ করেছি। এখান থেকে টমটমের চার্জ দেওয়া হয়। আমি রাতে ঘুমিয়ে পড়ছিলাম। ৭/৮ জনের সংঘবদ্ধ দুবৃর্ত্তরা আমার গ্যারেজে ডুকে পড়ে। অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার হাত-পা রশি দিয়ে বেঁেধ ফেলে। কাপড় দিয়ে মুখ ছেপে ধরে। এ সময় তারা আমার গ্যারেজ থেকে ২১ টি টমটমের ব্যাটারী, নগদ ২১ হাজার টাকা, ১ দামী মুঠোফোন নিয়ে যায়। আমি বিকাশের ব্যবসা করি। মুঠোফোনের সিমটি বিকাশের।
হেফাজ উদ্দিনের বড় ভাই জিগার উদ্দিন বলেন, সিমটিতে আমরা সকালের দিকেও সক্রিয় থাকতে দেখেছি। আরিফুল ইসলাম বিটু জানান, এ ধরনের চুরির ঘটনা নিয়ে আমরা হতভম্ব হয়ে গেছি। সিকদারপাড়ায় এতবড় আর চুরি হয়নি।
ইউপি সদস্য শাহনেওয়াজ আজাদ জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। পেকুয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, স্থানীয়রা কিছু সন্দেহ জনক ব্যক্তিকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।