পেকুয়ায় বহুতল ভবনের ছিদ্র পাইপের মল পড়ছে সড়কে। এতে করে জনগুরুত্বপূর্ন ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত থেমে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা বাজার ও ভেলুয়ারপাড়া সড়কে এ অবস্থা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ধনিয়াকাটা বাজারের নিকট মোহাম্মদ জুবাইর নামক এক প্রবাসী বহুতল ভবন তৈরী করে।
গত কয়েক বছর ধরে সড়কের পাশে নির্মিত ওই ভবনে পরিবার নিয়ে থাকেন জোবাইর। সম্প্রতি ওই ভবনের বাথরুমের সঞ্চালন পাইপ ছিদ্র হয়ে গেছে। প্লাষ্টিকের সঞ্চালিত ল্যাট্টিনের পাইপটি ছিদ্র হয়ে যায়। সড়কের মাঝখানেই পাইপের ছিদ্র অংশ দেখা দেয়। এতে করে গত ১ মাস আগে থেকে জুবাইরের বসতবাড়ি বহুতল ভবনের বাথরুমের মলমূত্র পড়ছে চলাচল সড়কে।
বর্তমানে ওই সড়কের প্রায় ১ চেইন মতো বাথরুমের পানিতে পিচ্ছিল হয়ে গেছে। ল্যাট্টিনের দুষিত পানি ও মলমূত্রের বর্জ্যের স্তুপ তৈরী হয়েছে। ফলে ধনিয়াকাটা বাজারের নিকট থেকে পশ্চিম দিকে বহমান ওই সড়ক দিয়ে মানুষের যাতায়াত থেমে গেছে। ময়লা আবর্জনার স্তুপ হয়েছে। দুর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশের মারাত্মক অবনতি দেখা দিয়েছে। পায়ে হেঁেট যাওয়ার সময় মানুষ দুর্গন্ধে পতিত হয়। অনেকেই দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রান পেতে নাকে মুখে টিস্যু ও রুমাল ছেপে ধরে। ধনিয়াকাটা বাজারে আসে প্রতিদিন শত শত মানুষ। ধনিয়াকাটা বাজার ও ভেলুয়ারপাড়া সড়কটি টইটংয়ের ব্যস্ততম সড়ক। ওই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার পথচারী প্রতিদিন যাতায়াত করে। ভেলুয়ারপাড়া, মিয়াজিঘোনা, বারবাকিয়া ইউনিয়নের কাদিমাকাটা, নয়াকাটা, বারাইয়াকাটার যোগাযোগের সংযোগ সড়ক সেটি। বর্তমানে সড়কটি অযোগ্য হয়ে গেছে। এর জন্য দায়ী ওই প্রবাসীর পরিবার। তার অজ্ঞতার ফলে সড়কে পড়ছে পয়:প্রণালী।
টইটং ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন জানান, বাজারের নিকটে এমন অবস্থা। এখন মানুষ কিভাবে চলাফেরা করবে। বাথরুমের কমেটের পানি ও মলমূত্র পড়ছে সড়কে। আমি কয়েকবার অনুরোধ করেছি কিন্তু জোবাইরের স্ত্রী এ সব শুনেনা। বর্তমান ইউপি সদস্য নুরুল আবছার জানান, আমি নিজে গিয়ে রাস্তা থেকে পাইপ অপসারণ করতে বলেছি। তারা কিছুতেই মানছেনা। অথচ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।
ধনিয়াকাটা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, পায়খানার পানিতে সড়কের ১ চেইন মতো পিচ্ছিল হয়ে গেছে। মানুষ পায়ে হেঁেট যাওয়ার সময় পায়ে অথবা জুতায় মলমূত্র লেগে থাকে। ব্যবসায়ী তোফায়েল বলেন, আমরা কি কোন মানুষ নই। মানুষ হলে তারা এ ভাবে করতে পারেনা। আমির হোসেন জানান, জোবাইরের স্ত্রীকে বললে আরো রেগে যায়। হাজার হাজার মানুষ চলাফেরা করে। কিন্তু ওই বাড়ির মালিকের কোন দৃষ্টি নেই। আমরা আইনী ব্যবস্থা চাই।
ড্রাইভার হারুণ বলেন, সরকার খোলা পায়খানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। অথচ বাজারের নিকট অনেকদিন ধরে কষ্ট পাচ্ছি। খবর নেই কারো।
রাশেদা বেগম, রুপিয়া বেগম, দিলোয়ারা বেগমসহ কয়েকজন জানান, আমরা স্বাস্থ্য ঝুঁিকতে আছি। দেশে কি কোন আইন নেই। থাকলে এমন অবস্থায় কেন।