কক্সবাজারের পেকুয়ায় চাঞ্চল্যকর পুত্রবধু সালমা বেগম (১৭) হত্যা মামলার আসামী শ্বাশুর জাফর আহমদ (৫০) ও শ্বাশুড়ি মাদুনী বেগমকে (৪৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। সোমবার (১২অক্টোবর) দুপুরে তারা চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিজ্ঞ হাকিম রাজিব কুমার দেব জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কক্সবাজার কারাগারে প্রেরন করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের এপিপি এডভোকেট শহিদুল্লাহ চৌধুরী। জাফর আহমদ উপজেলার বারবাকিয়া ইউপির পাহাড়ীয়াখালী ছনখোলার জুম এলাকার মৃত,নজির আহমদের ছেলে। জানাগেছে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর যৌতুক না দেয়ায় নির্যাতনের শিকার গৃহবধু সালমা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) মারা যান। ওইদিন ঘাতক স্বামীকে চমেক হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা থেকে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ আটক করে। এ ঘটনায় সালমা বেগমের মা মর্তুজা বেগম বাদি হয়ে সামলার স্বামী আলমগীর, শ্বাশুর আহমদ শ্বাশুড়ি মাদুনী বেগম ও ভাসুর ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে আসামি করে পেকুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জানাগেছে,তিন মাসে আগে আলমগীরের সাথে টইটং ইউপির পন্ডিতপাড়া এলাকার বাদশাহ মিয়ার মেয়ে সালমার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর যৌতুকের জন্য একাধিকবার নির্যাতন চালায় স্বামীসহ শ্বাশুর বাড়ির লোকজন।