সময়ের অন্যতম দুই তারকা ফুটবলার। বার্সা-রিয়ালে থাকার সময় দুজনের লড়াই উপভোগ করেছে গোটা বিশ্ব। দুজনই নিজ নিজ জায়গায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। এ দুজন হলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি।
রোনালদো রিয়াল ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ইতালিতে। খেলছেন জুভেন্টাসে। অশ্রুসিক্ত নয়নে সম্প্রতি বার্সেলোনা ছেড়ে ফ্রান্সে গেছেন লিওনেল মেসি। অপেক্ষায় আছেন পিএসজির জার্সি গায়ে মাঠে নামতে।
মেসি সতীর্থ হিসেবে সেখানে পাবেন সময়ের দুই তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমারকে। এই তালিকায় যদি যুক্ত হয় রোনালদোর নাম, তাহলে ব্যাপারটি কেমন দাড়াবে? একসময়ের প্রবল দুই প্রতিপক্ষ বনে যাবেন সতীর্থ।
তেমন সম্ভাবনা যে খুব জোড়ালো, তা বলা যাবে না। তবে চলমান সব ঘটনাবলী সেরকমই কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে। জুভেন্টাসে খুব একটা ভালো সময় কাটছে না রোনালদোর। ক্লাবটির আর্থিক অবস্থাও সুবিধার নয়। জুভেন্টাসের সাথে রোনালদোর চুক্তি আছে আর এক বছরের। এরপরই সিআরসেভেনকে ছেড়ে দিতে পারে জুভেন্টাস। সে ক্ষেত্রে বড় তারকা ঘরে আনার ওস্তাদ পিএসজি চোখ রাখতে পারে রোনালদোর দিকে।
জুভেন্টাসের বর্তমান কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রির সাথেও রোনালদোর সম্পর্ক খুব একটা ভালো না। সে কারণে দল সাজানোর ব্যাপারেও খুব একটা স্বাধীনতা পান না তিনি।
রোনালদোকে জুভেন্টাসে আনার পেছনে যে ক্রীড়া পরিচালকের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি, সেই ফাবিও পারাতিচিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, পারাতিচি এখন টটেনহামে। পারাতিচিই আরেক পরিচালক জিউসেপ্পে মারোত্তার সাথে একরকম লড়াই করে জুভেন্টাসে এনেছিলেন রোনালদোকে। পরে জুভেন্টাস ছেড়ে ইন্টারের ক্রীড়া পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন মারোত্তা, যে ইন্টার গত মৌসুমে জুভেন্টাসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে লিগ শিরোপা।
আর রোনালদোকে দলে রাখার ব্যাপারে জুভেন্টাস যদি উদাসীন হয়, সেটিও হতে পারে পিএসজির জন্য অনেক বড় একটা সুযোগ, যে সুযোগটা এবার মেসির ক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিতভাবে পেয়ে গিয়েছিল তারা। মেসির মতো চাইলে তখন রোনালদোকেও কোনো দলবদল ফি ছাড়াই দলে আনতে পারবে প্যারিসের ক্লাবটি।
তখন রোনালদোর সাথে শুধু বেতন ও বোনাস নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারলেই ব্যস, বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চার ফুটবল তারকা বসতি গড়বেন একসাথে, পিএসজিতে।