সাইফুল ইসলাম বাবুলঃ
হরেক রকমের কাজ নিয়ে আমরা ব্যস্ত। পৃথিবীর যতো কাজ প্রায়ই যন্ত্র দিয়ে সমাপ্ত হয়। ভারী শিল্পের কাজগুলো যন্ত্র দ্ধারা সম্পন্ন হয়। ইদানিং মালামাল উপরে তুলতে নাকি রোবট ব্যাবহার হচ্ছে। শুনছি এই রোবট যুদ্ধক্ষেত্রেও চলে আসছে। ধরতে গেলে ড্রোনও এক ধরনের রোবট। মনুষ্য বিহীন এই যান ঠিকই লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত করছে। আমি বলতে চাচ্ছি যন্ত্রের আদেশে কাজ হবে কৃত্রিম অনুভূতিতে। একজন অনুভূতি প্রবন মানুষ তা নিয়ন্ত্রণ করবে।এখন দেখছি সে রোবটিক কাজ কারবার রাজনীতিতে চলে আসল। যার হাতে রিমোট সে মালিক বাকিরা রোবট।
রিমোটের ইশারায় বাঘে মোষে এক ঘাটে জল পান করে। আবার লড়াইও হবে। রিমোট ধারীর অংখ যতক্ষণ কষা হবে ততক্ষণ শুধু শান্তি। এদিকে রোবট গুলোর বারোটা বাজে।একজন সক্রিয় রোবট রাজনীতিতে সরব ছিলো, এখন কমান্ড পেয়েছে সে নিরব ভদ্র, শুনছি আয় রোজগারও কমে গেছে – বাহ শান্তি! আরেক জন গোঁয়ার সেও এখন ভদ্র। সে কিন্তু দেখছে অংখের ফলাফল কি হয়। হাইব্রিড, নব্য, কাউয়া বলে লাভ নেই সবতো রিমোটে হবে। আরে ভাই আপনারা সত্য গোপন করে নিজেরা রোবট হয়ে গেলা এখন ছোঁ বোঁ কথা বলে লাভ নেই, রিমোট কি করে দেখো।
রিমোট যেখানে সেট করবে সেখানে লেগে যাও। নইলে কোম্পানী বদলাতে হবে। তখন রিমোটের আওতায় থাকবেনা। একদিন সবার অনুভূতি ছিলো সবাই এক জায়গায় হয়ে বিবেচনা হতো। এখন হয় না সত্য মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায় একাকার। এখন সেট হবার পালা। রিমোট ওয়ালা যা বলবে তাই হবে কিন্তু ভিন্ন কোম্পানী যদি মার্কেট পেয়ে যায় তবে রিমোটের কাজ থাকবেনা। তখন রিমোট ওয়ালার ভাংচুর করা ছড়া উপায় থাকবেনা। আমরা অপেক্ষায় আছি সে বিশৃঙ্খলার জন্য। ককরণ বিশৃঙ্খলা শান্তির পূর্ব মুহুর্ত। নছিহতের জন্য রুদ্ধধার বৈটক হলো। এরপর দখল, চাঁদাবজী, বিচার বানিজ্য অতএব ফলাফল শূন্যে। আর আমরা প্রাণহীন রোবট কমান্ডের জন্য অপেক্ষায় আছি।
হালাকু খান দেশ জয় করতেন কিন্তু শাসন করতেন না। কারণ তার নজর থাকতো সম্পদের দিকে। মানুষ অনুভূতি, দয়া ইত্যাদি তার অনুপস্থিত। এখন দেখছি রাজনিতীতে সম্পদ আকাংখা কাজ করছে। ফলে ফন্দি ফিকিরের অভাব নাই। ফেইসবুক স্টাটাসে দেখলাম নেতাকর্মীরা ঠিকমত কর্মসূচীতে যোগ দেয়না আসলে তারা রোবটের কাছে আসেনা। ভূল কমান্ড তাদের অনুভূতিকে সচল করেনা। তাদের মনুষ্যত্ব আছে, আছে ভালমন্দ পার্থক্য করা, সত্য কথা বলার সাহস। তারা রাজি নয় রেবটের মতো নেতা বানাতে, তারা রাজি নয় আমদানি করা রোবটের কমান্ড মানতে। টাকার বান্ডিল দেখলে যারা খোদার নাম ভূলে যায় তাদের কাছে কেনো যাবেন? সুযোগ পেয়েছেন কি কি করেছেন ভেবে দেখুন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কর্মসূচীর প্রচার হয়। মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ হয়না। সত্য মিথ্যা মানুষ বুঝে রোবট বুঝেনা। সাধারণ নেতা কর্মীরা মানুষ তাই তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভাইরাস মুক্ত থাকতে চায়। রোবট দিয়ে যান্ত্রিক কাজ করা যায় কিন্তু হৃদয়বৃত্তি হবেনা। রোবট দিয়ে কখনো জনপ্রতিনিধি বানানে যাবেনা।পারলে যান্ত্রিক উপায়ে কিছু করেন তবে কামিয়াব হবেন।
যন্ত্রের ইশারায় কেউ সম্পদ হারাবে কেউ আবার ইজ্জত হারাবে, তাই ভয়ে আছি।
ইদানিং বিভিন্ন ইউনিয়নে হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে- ইলেকশান করলে নাকি জবাই করা হবে। এম,এ,বি,এফ ডিগ্রিধারী মোডলের এই দম্ভোক্তি কি রিমোটের ইশারায়। তার এতো সম্পদ, আয়ের পথ কোনটি জনতা একটু জানতে চায়। কমিটি হবে রিমোটে,মনোনয়ন হবে রিমোটে নির্বাচনও যদি রিমোটে হয় তবে কি ডিজিটাল বাংলাদেশকে নেতিবাচক হিসাবে দেখবেন? তাই যারা মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে রিমোট দিয়ে ধ্বংস করতে চায় বিজয়ের মাসে তাদের একটু চিহ্নিত করা দরকার। একটু তদারকির প্রয়োজন আছে। একটু ভেবে দেখুন রোবট রোপী চাটুকার পরিবেষ্টিত থাকলে হয়তো একদিন কেউ কমান্ড মানবেনা।মোরগকে বিচারকের আসনে বসালে সে কুককর কুক বলবে আর কিছুই না।
মানুষের অনুভূতিকে কাজে লাগান যদি মনে করেন মানুষ ভয়ের দাস তবে ভূল করবেন। কারন মানুষই ভয়কে জয় করে। ভয় একবার ভেঙে গেলে বাধভাঙ্গা স্রোতের মতো সব কিছু ছিন্নভিন্ন করে ফেলবে। তখন কিছুই করার থাকবেনা। এখন দরকার আপনাদের কাজকর্মে মানুষকে দ্রুত নিঃস্ব করা বিশেষ করে নিজের লোকদের। যারা বিরোধী তারা বিরোধে থাকুক। কিন্তু যারা আপনাদের অন্ধ বিশ্বাস করে তাদের গুলো কেনো ভাঙ্গবে? ফলে হয়ে যাবেন নিঃসঙ্গ। রিমোটের বেটারীর চর্জ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। অতএব সাধু সাবধান।
নশ্বর পৃথিবীতে সবকিছু পরিবর্তন শীল। ভাবছেন এটা আমরাবাতী, ভূল ভাবছেন। মানুষকে মুল্যয়ন করুুন, নিজে মুল্যায়িত হবেন।অতীতে অনেক আশা আকাংখা চোখের পানিতে ধুয়ে গেছে। সেই পরিনতি যেনো আর না হয়।নিজের মোডল মোডল ভাব পরিহার করুন। ন্যানো রোরট আপনাদের বেশীদিন পাহারা দিবেনা। বিয়াদবী না নিয়ে একটু ভাবুন, সুন্দর থাকুন।
কথায় বলে ধনী ধন দ্ধারা তৃপ্ত হয়না তাই বলি ধনীরাই আসল ভিখারী। আমরা সাধারণ আমরা তৃপ্ত তাই সাধারণের হাতে হবে সব সমাপ্ত।