কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিচারের কথা বলে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে আমির হোসেন (৪৫) নামে এক দিনমজুরকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার এড়াতে আতœগোপনে চলে গেছেন ওই মামলার এক নম্বর আসামী ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর। নিহতের স্ত্রী ছকিনা ইয়াছিন বাদি হয়ে বুধবার চকরিয়া থানায় এজাহার দেয়ার পর বৃহস্পতিবার (২৬ মে) এজাহারটি মামলা হিসেবে রুজু করে থানা পুলিশ। এ মামলার এজাহারে ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরকে প্রধান আসামি করে ১০জনের নাম উল্লেখপূর্বক আরো ১২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়। এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, হত্যা মামলার আসামী হওয়ার পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছেনা। ধারনা করা হচ্ছে তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে সম্ভবত আতœগোপনে চলে গেছেন।
এদিকে এ বর্বর হত্যাকান্ডের ঘটনা ৭২ ঘন্টা পার হলেও এখনো এ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা পুলিশ। নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে মঙ্গলবার বিকালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় লোকজন। নিহত আমির হোসেন উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব ডুমখালী গ্রামের মৃত কবির আহমেদের ছেলে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, নিহত আমির হোসেনের স্ত্রীর দেয়া এজাহারটি থানায় মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। পুলিশ মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারে মাঠে রয়েছে।
নিহতের স্ত্রী ছকিনা ইয়াসমিন বলেন, গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডুমখালী এলাকায় বনের ত্রাস হিসেবে খ্যাত আবদুর রহমান বাহিনীর হাতে হত্যাকান্ডের হয় আমার স্বামী দিনমুজুর আমির হোসেন। দূর্বৃত্তরা বিচারের কথা বলে আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাত পা বেঁধে গুলি করে। তিনি আরও বলেন,সদ্যসমাপ্ত ইউপি নির্বাচনের ইস্যুকে কেন্দ্র করে ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরের নির্দেশে তার সামনেই চেয়ারম্যানের লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামী দিনমুজুর আমির হোসেনকে হত্যা করে।
ছকিনা ইয়াসমিন বলেন,আমার স্বামী ও তাদের আতœীয় স্বজন গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে গিয়ে সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাসানুল ইসলাম আদরের পক্ষে কাজ না করায় নির্বাচন পরবর্তী তিনি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে তার লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অত্যান্ত সুপরিকল্পিতভাবে আমার স্বামী আমির হোসেনকে হত্যা করে। ছকিনা ইয়াসমিন বলেন আমার স্বামী হত্যার ঘটনা ৭২ ঘন্টা পার হলেও এখনো এ বর্বর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাইকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে আমি এতিন তিন শিশু সন্তান নিয়ে এখন চরম আতঙ্কে দিনাতিপাত করছি। অবিলম্বে স্বামী হত্যার আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান নিহত আমির হোসেনের স্ত্রী ছকিনা ইয়াসমিন।