• সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০২:২৫ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
আদালতের দ্বারস্থ হয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করাতে হবে : কাদের খালেদা জিয়ার চিকিৎসার আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের ‘না’ সংসদে প্রকৃত বিরোধী দল না থাকায় জনপ্রত্যাশা পূরণে ঘাটতি : টিআইবি ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে দৈনিক ডেল্টা টাইমস পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ভাতা লোপাটের অভিযোগ “প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তালা বদ্ধ করে বিক্ষোভ” সভাপতি সেকাব উদ্দিন, সেক্রেটারী ফোরকান: মগনামা লঞ্চঘাট ব্যবসায়ী সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন প্রেমের ফাঁদে ফেলে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই রুবির পেশা সিংড়ার আয়েশ মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর সমাবেশ খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে হলে আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে : শেখ হাসিনা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাংলাদেশের ওপর যে ৫ প্রভাব পড়েছে

বিবিসি একাত্তর ডেস্ক / ২০২ Time View
আপডেট : শুক্রবার, ২৭ মে, ২০২২

ইউক্রেনের কৃষকদের হাতে বর্তমানে ২০ মিলিয়ন টন শস্য আছে যেগুলো যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে আসতে পারছে না। অন্যদিকে দেশটিতে আবার নতুন ফসল কাটার সময় হয়েছে।

বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্য সরবরাহের ক্ষেত্রে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

বিশ্ববাজারে ইউক্রেন যেসব শস্য বড় আকারে রফতানি করে তার মধ্যে রয়েছে-সানফ্লাওয়ার অয়েল, ভুট্টা, গম এবং বার্লি।

অন্যদিকে একই শস্য বিশ্ববাজারে বড় আকারে সরবরাহ করে রাশিয়া। কিন্তু যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য-শস্যের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর মানুষ এখন দিশেহারা।

গম আমদানিতে প্রভাব বাংলাদেশের মানুষ ক্যালরির জন্য ভাতের ওপর নির্ভরশীল। তবে আটা-ময়দার ওপরও ধীরে ধীরে নির্ভরশীলতা বাড়ছে। আর এই আটা-ময়দা আসে গম থেকে।

ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর এর গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে বাংলাদেশে গমের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

বাংলাদেশে তার চাহিদার ৮০ শতাংশ গম আমদানি করে। এর অর্ধেক আসে ইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকে। কিন্তু সে সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হবার কারণে গমের দাম বেড়েছে।

ফলে বাংলাদেশ আটা-ময়দার দামও বেড়েছে। সেই সাথে আটা-ময়দা দিয়ে তৈরি খাদ্যের দাম বেড়েছে বেশ খানিকটা।

ভোজ্য তেলের ওপর প্রভাব বাংলাদেশে ভোজ্য তেলের দাম এখন লাগামছাড়া। যদিও বাংলাদেশের বাংলাদেশে ভোজ্য তেলের বেশিরভাগই আসে পাম অয়েল এবং সয়াবিন অয়েল থেকে।

বিশ্বজুড়ে যেসব ভোজ্য তেল ব্যবহার হয় তার মধ্যে সানফ্লাওয়ার তেল প্রায় ১৩ শতাংশ। এর প্রায় ৭৫ শতাংশই আসে ইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকে।

যেহেতু এই সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে, সেজন্য বিশ্বজুড়ে ভেজিটেবল অয়েলের চেইনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনিস্টিটিউট-এর এর গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ তার প্রয়োজনীয় ভেজিটেবল অয়েল আমদানি করে হয় কাঁচামাল হিসেবে, নয়তো প্রক্রিয়াজাত পণ্য হিসেবে (পাম অয়েল এবং সয়াবিন অয়েল)। অথবা তেলবীজ আমদানি করে সেটিকে স্থানীয়ভাবে প্রক্রিয়াজাত করে।

মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল রফতানি করে। কিন্তু একদিকে করোনাভাইরাস মহামারি-পরবর্তী শ্রমিক সঙ্কটে কারণে দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। পরে ইউক্রেন যুদ্ধ সে দাম আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

হাঁস-মুরগি ও গরুর খাবার পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ভুট্টা। বিশ্ববাজারে ইউক্রেন ১৬ শতাংশ ভুট্টা সরবরাহ করে। পৃথিবীর আরো অনেক দেশে ভুট্টা উৎপাদিত হয়।

যেহেতু ইউক্রেন থেকে ভুট্টা সরবরাহ আসতে পারছে না সেজন্য বিশ্বজুড়ে পোল্ট্রি ফিড-এর দাম বেড়েছে। এর ফলে বাজারে মুরগী ও ডিমের দাম বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ ফিড ইন্ডাট্রিজ এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা দেবাশিষ নাগ বলেন, পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনের ৬০ শতাংশ উপকরণ আমদানি করতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় উপকরণ হচ্ছে ভুট্টা।

‘ভুট্টার দাম অনেক বেড়ে গেছে। পোল্ট্রি ফিডের মূল উপাদানে মধ্যে ভুট্টা এবং সয়াবিন মিল (সয়াবিনের ভুষি)-এ দুটো হচ্ছে মূল উপাদান,’ বলেন নাগ।

সার আমদানিতে খরচ বিশ্ববাজারে সিংহভাগ সার রফতানির ক্ষেত্রে রাশিয়া এবং বেলারুশের ভূমিকা রয়েছে।

রাশিয়ার ওপর রফতানি নিষেধাজ্ঞা দেবার ফলে সেটি বাংলাদেশকেও প্রভাবিত করবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে সার আমদানি করে। সেটি ব্যাহত হলে ভিন্ন কোনো উৎস দেখতে হবে। এতে করে খরচ বাড়বে কৃষি খাতে।

জ্বালানী তেলের দাম রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে জ্বালানী তেলের দাম হু হু করে বেড়েছে। বিশ্ববাজারে তেল-গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে রাশিয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

জ্বালানী তেলের আমদানি ব্যয় মেটাতে এখন হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আসছে বাজেটে জ্বালানী তেলের ভর্তুকির জন্য সরকারকে অনেক টাকা গুণতে হবে। অন্যথায় তেলের দাম বাড়াতে হবে। কিন্তু তেলের দাম বাড়লে দ্রব্যমূল্য আরো বাড়বে।

সূত্র : বিবিসি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি