সাইফুল ইসলাম বাবুলঃ
কতোই রঙ্গ জানোরে মানুষ কতোই রঙ্গ জানো। এই ভালো এই মন্দ …..! রাজনীতির মাঠের কুশিলক যারা তারা মনে হয় এর মর্ম বুঝেছেন তাই আমজনতার উপর এর পরীক্ষা হচ্ছে। সমাজে যে ভালো কিছু হচ্ছে না তা নয়, তবে মন্দের পরিহার চর্চ্চা যা হাওয়া উচিৎ তা হচ্ছেনা। ফলে ভালো কিছু হলে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে।
মাদক কি রাজনীতির ছত্র ছায়ায় চলে? না হলে দীর্ঘ দিন থেকে অনেকের বিরুদ্ধে কথা প্রচলিতো থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেই। নীরবে বিস্তার লাভ করছে এবং তাদের আস্ফালন ও মাঝে মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। অনেক জনপ্রতিনিধির সন্তান কিংবা আত্মীয় স্বজনরের সাথে জড়িত তাই তাদের টিকি ধরা কঠিন।
আইন শৃঙ্খলা তেমন ঠিক আছে বলে মনে হয়না। রাস্তা কাটার দৃশ্য চোখে পড়ে, উন্নয়ন কাজের ধীর গতি ও যথাযথ মান রক্ষার ব্যাপারে আপত্তি থাকে। বড় প্রকল্প গুলোতে হরিলোটতো আছেই, এইসব একটু নজরে আনেন।
সাম্প্রতিক বিষয় ক্ষমতাসীন দলের সম্মেলন। রাজনীতির মুল চর্চ্চা হচ্ছে রাজনৈতিক মোকাবিলা। আর এখন হচ্ছে হরেকরকমের লুকোচুরি খেলা। যেমন ইউনিয়ন সম্মেলন হচ্ছে সেখানে এক মহা লুকোচুরি এক পক্ষের হাতে সম্ভাব্য কাউন্সিলর তালিকা অপর পক্ষকে দিবো দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ। একদিন আগে চুড়ান্ত তালিকা দিলেও একটু দেখা সাক্ষাতের সময় দেয়া হয় না। খয়ের খাঁ দের তুলে আনার চেষ্টা। খয়ের খাঁরা দলের বিরোধিতা করবে আবার তাদের দলের মসনদ দেয়া হবে। দলের ত্যাগী কর্মীরা থেকে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে বঞ্চিত।
অতীতে দেখেছি পোস্ট পদবী নিয়ে থানায় তদবির বানিজ্য, রাস্তা ঘাটে বিচার বানিজ্য, গায়ে মানে না আপনি মোডল ভাব নিয়ে চলা এদের অভ্যাস। তা হলে কি একটি নিদিষ্ট গন্ডি নিয়ে রাজনীতি হবে। একটি স্বচ্ছ কাউন্সিলর তালিকা প্রনয়ন করে প্রকাশ করা সম্ভব হলে সেটকে আরো পরিশুদ্ধ হওয়া যেতো। কিন্তু ত্যাগী কর্মীরা আনেক তদবীর করে জেলায় আপত্তি জানিয়ে কাউন্সিলর হতে হচ্ছে।
পেকুয়ার এক তৃণমূল নেতা বলেছেন My man তৈরির পায়তারা। সম্মানিত জেলা নেতৃবৃন্দ সবই জানেন কি ভাবে একটি সুন্দর সংগঠন হবে। তুবুও সব কিছু লুটেরার হাতে ছেড়ে দেয়ার প্রবনতা।বাতাসে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে কে কতো টাকার বিনিময়ে এসব কাজ করছেন। যদি না হয় বদনামের ভাগিদার হওয়ার দরখার কি? সবই স্বচ্ছ করা হউক।শীলখালীর সম্মেলন নিয়ে নানা কথা উঠছে। বিএনপি’র নেতাকে সভাপতি নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচনের আগে কিংবা সম্মেলনের পূর্ব বিষয়টি খেয়াল করা উচিৎ ছিলো।এখন মকাল কাম করে আরেকটা টাকার খেলা শুরু হলো। দলীয় কর্মীরা অসহায়। তারা উপরের চাপে সব করে। এসব করতে করতে দলে কোনো স্বাধীন নেতা, আদর্শিক কর্মী থাকবে কিনা সন্দেহ। হয়তো বলতে পারেন হারু পাটির কথা বেশী। বেশ চোখেইতো দেখলাম জিতা পাটিরা কি করেছে। দলের বারোটা বাজিয়ে আখের ঘুচাচ্ছে।
মগনামায় যা হচ্ছে মোটামুটি ভালোই বলা যায়। উজান টিয়ায় এক রুমে দুই নেতা। গাইডেড কাউন্সিলর তালিকা। বিদ্রোহী প্রার্থীর পছন্দের লোকজনে ঠাসা সেখানেতো এক তরফা সম্মেলন হবেই। সভাস্থলে গুনজন থেকেই সব কিছু আচ করা যায়। সম্মেলনের আগে অলোকিক ভাবে জিকু আউট। ইউনিয়ন নির্বাচনের সময় নির্বাচিতো সভাপতি আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে কাজ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সম্পাদকতো মহা বিদ্রোহী। বাহ্ চমৎকার জেলা নেতা, উপজেলা নেতা সহ সবাই মিলে সবাই মসনদে আসীন করেছেন। এখন বলছেন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। যে দিন দলের বিরুদ্ধে এবং আপনার বিরুদ্ধে যাবে তখনই বুঝবেন।
এখন বাকী ইউনিয়ন গুলোর অবস্থা কি হয় দেখার বিষয়। my man উঠে না আসলে বাবুর গনেশ উল্টে যেতে পারে। একটি হাস্যকার ব্যাপার অতীতে নাকি ইউনিয়ন কমিটি এবং উপজেলা কমিটিতে মুষ্টিমেয় কয়েকজন ছাড়া কে কোন পদে আছে জানতোনা।তা হলে কি ওয়ানম্যান আর টুম্যান শো রাজনীতি হবে? নাকি বলবে বড় চোরা জাইল্যা ভোটের বক্স খাইল্যা। সবধাস সামনে জাতির কঠিন পরীক্ষা উত্তীর্ণ হবেন তো।
লেখকঃ সাইফুল ইসলাম বাবুল, এডভাইজার – বিবিসি একাত্তর