কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে প্রকাশ্যে দিনমজুর আমির হোসেন হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন।
চকরিয়ায় দিনমজুর আমির হোছন হত্যাকান্ডের আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে রবিবার বিকেলে নিহতের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আমির হোছনের স্ত্রী ছকিনা ইয়াছিন।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসীরা নৃশংস ভাবে হত্যা করে দিনমজুর আমির হোছনকে। এঘটনায় গত বৃহস্পতিবার নিহতের স্ত্রী ছকিনা ইয়াছমিন বাদি হয়ে ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরকে প্রধান আসামি করে ১০জনের নাম উল্লেখপূর্বক আরো ১২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকান্ডের ছয় দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কোন আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিহতের স্ত্রী ছকিনা ইয়াছমিন যুগান্তরকে বলেন, আমার স্বামীকে প্রকাশ্যে ডেকে নিয়ে চেয়ারম্যান আদর ও তার বাহিনী হত্যা করেছে। আশামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় একজন আসামিও গ্রেফতার করেনি পুলিশ! এদিকে প্রধান আসামি চেয়ারম্যান আদরকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন বলে জানান নিহতের স্ত্রী ছকিনা ইয়াছমিন।
সংবাদ সম্মেলনে ছকিনা ইয়াছমিন বলেন, আমার স্বামী ও তাদের আত্মীয়-স্বজন গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে গিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাসানুল ইসলাম আদরের পক্ষে কাজ না করায় নির্বাচন পরবর্তী তিনি প্রতিশোধ নিতে তার লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে তার স্বামী আমির হোসেনকে হত্যা করে। ছকিনা ইয়াসমিন আরও বলেন, স্বামী হত্যার ঘটনায় পাঁচদিন পার হলেও এখনো এ বর্বর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে আমি এতিম তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে এখন চরম আতঙ্কে দিনাতিপাত করছি। অবিলম্বে স্বামী হত্যার আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান নিহত আমির হোসেনের স্ত্রী ছকিনা ইয়াসমিন।
এদিকে হত্যাকান্ডের পাঁচদিনের মাথায় শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমির হোছন হত্যাকান্ডের আসামি গ্রেফতারে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। ##