শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার নওফেল বলেছেন, আপনার প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষার পাশাপাশি মানব সম্পদ হিসেবে তৈরী করুণ। উদ্বুদ্ধ করুণ কম্পিউটার, কৃষি প্রকল্প, বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ। শিক্ষার্থীরা হাতকঁড়ি কাজে যেন দক্ষ হয়। পরে নিজেরা একটি প্রতিষ্ঠা তৈরী কিংবা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভাল মানসম্মত বেতনে চাকরির সুযোগ পায়।এভাবে আজকের শিশুকে আগামী দিনের ভবিষৎ হিসেবে গড়ে তুলতে যেমন শিক্ষকদের ভুমিকা রয়েছে, তেমনি অভিভাবকদেরকেও ভুমিকা থাকা আবশ্যক। তিনি আরো বলেন, কোন কাজ জানা না থাকলে বিএ.অনার্স, মাস্টার্স, পিএইচডি ডিগ্রী নিয়ে কোন লাভ নেই। ডুলাহাজারা কলেজ কর্তৃপক্ষ অনেক আশা আকাঙ্খা নিয়ে আমাকে আমন্ত্রণ করেছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে অনেক দাবী তুলেছেন। আমি সাধ্যমত চেষ্ঠা করব প্রতিষ্ঠানের চাহিদা, স্বপ্ন মেঠাতে।
রবিবার (২৯ মে) দুপুর ১২ টায়
চকরিয়া ডুলাহাজারা ডিগ্রী কলেজের ২৫ বছর পুর্তি ও রজত জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এসব কথা বলেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান’র সভাপতিত্বে ও কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অঅনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কলেজের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ছয় একর জমির উপর নির্মিত এই ডুলাহাজারা কলেজ।এলাকার কিছু দানবীর লোকেরা কলেজের জায়গাদান সহ আর্থিক সহযোগিতায় আজ কলেজটি পরিপূর্ণ হয়ে দাড়িঁয়েছে।বর্তমানে কলেজে ২ হাজারের মত শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে কলেজে ডিগ্রী কোস চালু করা হলো কিন্তু এমপিওভূক্ত করতে পারিনি। কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করছে। তবে দুর-দুরান্তে শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে একটি ছাত্রাবাস, অডিটোরিয়াম ভবন সহ অনার্স কোস চালু করা। তাই মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রীর সুদৃষ্টি, আন্তরিকতার সুফল হিসেবে প্রয়োজনীয় আবেদন পুরণের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্যে রাখেন, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন কুমার চক্রবর্তি, বরইতলী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন জিয়া, ফাঁসিয়াখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, পূর্ব বড়ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্না, চকরিয়া পৌর-আ’লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু,ওয়ালিদ মিল্টন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও চকরিয়ার নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান বলেন, আমি চকরিয়ার আসার পর থেকে ডুলাহাজারা কলেজের শিক্ষা ব্যবস্হাপনার অনেক সুনাম শুনেছি। তেমনি এইচএসসি পরীক্ষাতেও কলেজের শিক্ষার্থীরা ভাল রেজাল্ট করেছে। জেলাজুড়ে কলেজের বেশ সুনাম রয়েছে। সুতরাং সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখে শিক্ষা ব্যবস্হাপনার মান আরো উন্নত হোক তিনি এই আহবান করেন।
অনুষ্ঠানে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত অধ্যাপকের মাঝে ক্রেষ্ট বিতরণ করা হয়। আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।