কক্সবাজারের পেকুয়ায় হামলায় দুই নারীসহ একই পরিবারের ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রবিবার (২৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের সবজীবনপাড়ায় হামলার এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ওই এলাকার মো: আরিফুল ইসলামের স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৩), এনামুল হকের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন (৪০), মৃত মো: ফেরদৌসের পুত্র এনামুল হক (৫০), এনামুল হকের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩০), মৃত মো: ফেরদৌসের পুত্র রফিক আহমদ (৬৩)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সবজীবনপাড়ায় মৌলভী আলা উদ্দিন সাহেবের একটি দরগাহ রয়েছে। সম্প্রতি ওই দরগায় সংষ্কার কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। সংষ্কার কাজের পর সেখানে কিছু ইটের স্তুপ ছিল। সেখান থেকে ইট নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে মৃত ফেরদৌস আহমদের পুত্র রফিক আহমদ ও তার ছোট ভাই ছরওয়ারের স্ত্রী জরিনা খাতুনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। ইট নিয়ে প্রশ্ন তুললে ভাসুরকে জরিনা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর সুত্র ধরে ঘটনার সুত্রপাত হয়েছে। এক পর্যায়ে জরিনা খাতুনের পক্ষে মৃত ফরিদুল আলমের পুত্র নয়ন উদ্দিন, ছরওয়ারের পুত্র মানিক, ছরওয়ারসহ ৫/৬ জন উত্তেজিত লোকজন লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে রফিকের বাড়িতে গিয়ে এলোপাতাড়ি মারধরসহ হামলা চালায়। এ সময় রফিক আহমদ ও তার বড় ভাই এনামুল হক, পুত্রবধূ শারমিন আক্তার, ছেলে আরিফুল ইসলাম, এনামুল হকের স্ত্রী মরিয়ম খাতুনসহ ৫ জনকে পিটিয়ে জখম করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী আমজাদ হোসেন জানান, আমরা গিয়ে মারপিট থামিয়েছি। নাছির উদ্দিন বলেন, বাড়িতে গিয়ে ছরওয়ারের পক্ষের লোকজন হামলা করেছে। ফয়সাল জানান, আরিফের স্ত্রীকে কামড় দিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। পেকুয়া সদরের বটতলীয়াপাড়ার সমাজ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী নুরুল হোসেন জানান, মরিয়ম আমার আপন বোন। খবর পেয়ে আমরা এদেরকে দেখতে হাসপাতালে এসেছি। আরিফের স্ত্রী শারমিন আক্তার জানান, আমাকে সর্বশরীরে আঘাত করে। মাটিতে ফেলে কিল, ঘুসি ও লাথি মারে। এনামুল হকের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন জানান, আমার স্বামীকে মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেছে। আমাকেও পায়ে ও মাথায় জখম করে। আমার কানে এক জোড়া স্বর্নের কানফুল ছিল। সেগুলি নিয়ে গেছে। পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।