কক্সবাজারের পেকুয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও আÕলীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সড়কে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। শনিবার (৪ জুন) বিকেলে ক্ষমতাসীন দল আ. লীগ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ওই দিন বিকেলে পেকুয়ায় আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। এ সময় মিছিলটি বনৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাঁটি সড়কের মিয়াপাড়া পয়েন্টে গিয়ে এর সমাপ্তি হয়। পেকুয়া বাজারের পূর্বপার্শ্বে ইসলামী ব্যাংকের নিকট সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আÕলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বিএর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেমের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেভ সদস্য এস,এম গিয়াস উদ্দিন, উম্মে কুলসুম মিনু, জেলা আ’লীগ সদস্য জিএম আবুল কাসেম, রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগ যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল, যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ বারেক, তরুণ আ’লীগ নেতা এডভোকেট রাশেদুল কবির, পেকুয়া সদর আ’লীগের সম্পাদক বেলাল উদ্দিন বিএসসি, আলীগ নেতা জাকিরুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন বিএ, ফোরকান ইলাহী, স্বেচ্ছাসেবকলীগ পেকুয়ার সভাপতি ওসমান গণি মেম্বার, কৃষকলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শাহেদ, ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এহেতাশামুল হক, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রশিদ প্রমুখ। এদিকে রাষ্ট্রনায়ক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ওই দিন ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী বিক্ষোভ মিছিল ও কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছেন। ওই দিন ক্ষমতাসীন আলীগের পক্ষ থেকে পেকুয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও কর্মসূচীকে সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে আলীগের নেতা-কর্মীরা পেকুয়া বাজারে জড়ো হন। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সহযোগী সংগঠন ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলিও ওই কর্মসূচীকে সফল করতে বিশাল শুভাযাত্রা মিছিল সহকারে পেকুয়া বাজারে আসে। উজানটিয়ায় এম শাহ জামাল ও নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে আলীগ বিক্ষোভ কর্মসূচীতে যোগ দিতে পেকুয়ায় আসে। রাজাখালী থেকে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুলের নেতৃত্বে আলীগ মিছিল নিয়ে পেকুয়ায় আসে। মগনামায় খাইরুল এনাম ও সুলতান মোহাম্মদ রিপনের নেতৃত্বে মিছিল সহকারে পেকুয়ায় পৌছে। বারবাকিয়ায় আবুল হোসেন শামা ও কামাল হোসেনের নেতৃত্বে মিছিল পৌছে পেকুয়ায়, পেকুয়া সদরে এম, আজম খানসহ আলীগের একাধিক ইউনিট মিছিল নিয়ে বিক্ষোভে যুক্ত হন। এ ছাড়াও উপজেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ বারেক, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সদরের সভাপতি মুহাম্মদ ফোরকান মেম্বার, মৎস্যজীবিলীগ পেকুয়ার সভাপতি মনছুর আলম ও সাধারন সম্পাদক আবদুল্লাহ শিব্বির, তাঁতীলীগের এটিএম জায়েদ মোর্শেদ, প্রজন্মলীগের মোক্তার আহমদের নেতৃত্বে পৃথক পৃথক মিছিল সহকারে বিক্ষোভ কর্মসূচীকে সফল করা হয়েছে। পরে উপজেলা আলীগের নেতৃত্বে পেকুয়া বাজার থেকে বিশাল মিছিল সড়কে প্রদক্ষিণ হয়েছে। এ সময় বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বিএনপি আবারো প্রমাণ করলো তারা হত্যা ও সহিংসতার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা আলীগের নেতা-কর্মীরা দৃঢ় প্রত্যয় ও উচ্চ কন্ঠস্বর দিয়ে বলছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা হত্যার হুমকিকে ভয় পায়না। আলীগ এ দেশের জন্য রক্ত দিয়েছে। স্বৈরশাসনের রক্তচুক্ষকে ভয় পায়নি শেখ হাসিনার সৈনিকরা। বিএনপি ও ছাত্রদলের ক্যাডারদের বলছি এ হুমকি দিয়ে প্রমাণ করেছ তোমরা অসভ্য। আমরা রাজপথ ছেড়ে যায়নি। মনে রাখবা আলীগের কর্মীরা যখন প্রতিবাদ মুখর হয় রাজপথে নামে তখন কোন অপশক্তি দমিয়ে রাখতে পারেনা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলীগ নেতা ছরওয়ার কামাল, হাজী শাহাব উদ্দিন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচী, মাষ্টার নুর মোহাম্মদ, আবুল কাসেম আজাদ, খলিলুর রহমান, শ্রমিকলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক হুমায়ুন কবির বিএ, সাবেক নেতা এস,এম শাহাদাত হোসেন, যুবলীগ যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন, সাংবাদিক জালাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মুহাম্মদ হাসেম, এম, আজগর আলী, উপজেলা আলীগ নেতা ছৈয়দুল হক, মফিজুর রহমান, সাইফুদ্দিন খালেদ, আবুল হাসেম টুনু, তরুন আ’লীগ নেতা মো: ইকবাল, শ্রমিকলীগ নেতা টইটংয়ের খুইন্নাভিটার বেলাল মাঝি, সদরের নেতা মুহাম্মদ ইলিয়াছ, আলীগ নেতা মুহাম্মদ শিমুল করিম প্রমুখ।