চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার জঙ্গল পদুয়ার চানপুরা খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছেঃ ফসলী জমি হুমকির মুখে। প্রশাসন নিরব! দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের জঙ্গল পদুয়ার চানপুরা খাল থেকে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ড্রেসার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে ও প্রভাবশালীরা অবাধে বালু উত্তোলন করছে। এতে বাঁধ, ফসলি জমি এবং ঘরবাড়ি হুমকিতে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের জঙ্গল পদুয়া এলাকার চানপুরা খালের থেকে বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার ও শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু তুলছেন। শুধু তাই নয়, খালের তীর থেকে এক্সভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ট্রাকে আশপাশের ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন। এতে খালের তীরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বালু উত্তোলনের কারণে বিভিন্ন স্থানে ধসের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যেকোনও সময় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নাম ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক খাল তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, প্রভাবশালী মাটি ও বালু ব্যবসায়ীরা অনুরোধ সত্ত্বেও বালু ও মাটি কাটা অব্যাহত রেখেছেন। সারা দিনরাত ট্রাকে মাটি ও বালু পরিবহন করায় গ্রামীণ সড়কগুলো ধসে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। আবার বালু তোলার কারণে খালের তীরবর্তী ফসলি জমি ও বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে। তারা আরও বলেন, প্রভাবশালী বালু ও মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ করে প্রতিকার মেলেনি। মাঝে মাঝে প্রশাসন থেকে অভিযান চালিয়ে মেশিনপত্র জব্দ করা হলেও কিছুদিন পর আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। এ অবস্থা বিরাজ করলে আগামী দু’তিন বছরের মধ্যে খালের পাশের ফসলি জমি, ভিটে ও বাড়িঘর ধসে খাল গর্ভে বিলীন হবে। চানপুরা খাল সংলগ্ন বিএস জরিপের ৯১৮নং খতিয়ানের বিএস দাগ নং ২৩১৪/২৩১৫/২৩১৬/২৩২১/২৩২০ নং এর জায়গার মালিক দাবিদার মোক্তার হোসেন,মৃত দলিলুর রহমান, ২৬মে ২০২২ইং বৃহস্পতিবার লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও নির্বাহী অফিসার কোনো ব্যবস্থা নেইনি বলে জানান । এ প্রসঙ্গে বালু উত্তোলনকারী হুবাইর (০১৮১৯০৮৩৭১) বার বার ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী (০১৭৩৩৩৩৪৩৫) কর্মকর্তা শরীফ উল্লাহ বলেন, আমরা সঠিক কোনো অভিযোগ পাইনি, তাছাড়া আমি নতুন যোগদান করেছি,১৫ দিন হলো, আমাদের বিভিন্ন অভিযান চলমান এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিবো। যখন তাকে বলা হল এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ আপনার বরাবর দেওয়া হয়েছে ,এই কথা শুনে তিনি নীরব ছিলেন কিছুই বলেননি। উক্ত এলাকার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কে বারবার মুঠোফোনে ফোন করে পাওয়া যায়নি, তাই এই বিষয়ে চেয়ারম্যান থেকে কোনো তথ্য নেওয়া হয়নি।