বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত তথা দুবাই। দীর্ঘ দিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশীদের ভিসা বন্ধ ছিল। প্রায় আট বছর পর বাংলাদেশ সরকারের কুটনৈতিক তৎপরতায় শ্রম বাজার তথা বাংলাদেশীদের জন্য সব ক্যাটাগরীর ভিসা উন্মুক্ত করে দেয় আমিরাত সরকার।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় কিছু স্বল্প পূজির ম্যানপাওয়ার এজেন্সি ও ব্যক্তি, বিশাল অংকে ভ্রমণ ভিসায় লোভনীয় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় বেকার বাংলাদেশী যুবকদের টার্গেট করে দুবাই নিয়ে আসতেছে।
সরেজমিন সাক্ষাৎকারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভ্রমন ভিসা ধারী প্রবাসী বাংলাদেশী জানিয়েছেন, বাংলাদেশী টাকায় প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার বিনিময়ে রিটার্ন বিমান টিকেট, ভিসা, এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক সহ চুক্তিতে তিনি দুবাই এসেছেন।
এরা এসেই প্রথম যে সংকটের মুখোমুখি হয়, সেটা হলো আবাসন।
অনেকেই নিকটাত্মীয় বা বন্ধু বান্ধবের বাসায় সামান্য মাথা গুজার ঠাঁই করে নিলেও আশি শতাংশ ভ্রমন ভিসা ধারী লোক আবাসনের অভাবে বিভিন্ন পার্কে বা রাস্তার ফুটপাতে রাত্রি যাপন করছেন।
অনেকে নিত্যদিনের খাবার সহ প্রয়োজন মেঠাতে অসামাজিক কাজ সহ বিভিন্ন বেআইনি কাজে জড়িয়ে পড়ছে। নির্ধারিত তিন মাসের ভ্রমন ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও চাকুরীর আশায় অনেকেই বাধ্য হয়ে অবৈধ অভিবাসীর খাতায় নাম লিখাচ্ছেন। আর এই সংখ্যা প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে আমিরাত রেসিডেন্সি এবং বিদেশী বিষয়ক সাধারণ অধিদপ্তরে।
এই ধারা অব্যাহত হতে থাকলে অচিরেই অনেক কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশের ফিরে পাওয়া সোনালী শ্রম বাজার বন্ধ হওয়ার আশংকা করছেন বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ সহ ব্যবসায়ী বাংলাদেশী প্রবাসী মহল।
বাংলাদেশ প্রবাসী বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সহ আমিরাতের দুবাই দূতাবাসের আশু তৎপরতা একান্তই জরুরি।