• শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

পেকুয়ায় পাহাড়ে নারী কান্ড নিয়ে মারপিট আহত-২

পেকুয়া প্রতিনিধি / ১১২ Time View
আপডেট : সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

কক্সবাজারের পেকুয়ায় পাহাড়ে গভীর রাতে নারী ঘটিত কান্ড নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের ২ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাতে হাড়ভাঙ্গা জখম হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করে। ঘটনার জের ধরে দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (৮ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ী এলাকা মধুখালী নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন মধুখালী এলাকার ঠান্ডা মিয়ার পুত্র ফরিদুল আলম প্রকাশ ফরিদ মাঝি (৪৫), নুরুল ইসলামের পুত্র ওমর ফারুক (২৯)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন গভীর রাতে মধুখালীর লম্বাঘোনায় দুর্গম পাহাড়ী স্থানে একটি বাড়িতে ইলিয়াছ প্রকাশ ইলু নামের ব্যক্তিকে স্থানীয়রা আটক করে। ইলিয়াছ প্রকাশ ইলুর বাড়ি পূর্ব টইটংয়ের রমিজপাড়ায়। দূরবর্তী স্থানের ভিন্নগ্রামে ১ জন নারীর বাসায় তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ তৈরী হয়। এ সময় ওই নারীর বাড়ি থেকে তাকে ধরে কয়েকঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এ খবর ইলুর বাড়ির নিকট স্বজনদের জানানো হয়। এ নিয়ে স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় নুরুল ইসলামের ছেলে ওমর ফারুক, ইলিয়াছ প্রকাশ ইলুর পক্ষ নেন। অপরদিকে ফরিদুল আলম প্রকাশ ফরিদ মাঝিসহ মধুখালীর শতাধিক লোকজন গভীর রাতে স্বামী পরিত্যক্ত নারীর বাড়িতে ১ জন পুরুষকে দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হন। এতে করে ওমর ফারুক গং ও ফরিদুল আলম গংদের মধ্যে মারপিট হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের ওমর ফারুক ও ফরিদুল আলম প্রকাশ ফরিদ মাঝিকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওমর ফারুক স্বজোরে ভারি মেরে ফরিদ মাঝিকে ডান হাতে হাড়ভাঙ্গা জখম করে। ওমর ফারুককে কিল, ঘুসিতে আহত করা হয়েছে। ইউসুফ নামের প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পরিস্থিতি অবনতি ছিল। ইলুকে ওই নারীর বাড়ি থেকে ২০/৩০ জন লোকজন গিয়ে হাতে নাতে ধরে ফেলে। মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, ইলুর হাতে ১ টি ধারালো দা ছিল। ওই নারীর বাড়ি থেকে দা’সহ আমরা তাকে উদ্ধার করেছি। ফরিদ মাঝি জানান, আসলে বিষয়টি আমাদেরকে জানানো হয়েছে। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। ইলুর বাড়ি থেকে লম্বাঘোনার ওই নারীর বাড়ি দুরত্ব হবে অন্তত ৪ কিলোমিটার। গভীর রাতে তিনি সেখানে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে সন্দেহ তৈরী হয়েছে। আমাকে বন্দুকের বাট দিয়ে হাড়ভাঙ্গা জখম করে ফারুক। ওমর ফারুক জানান, তারা ইলুকে ধরে ধস্তাধস্তি করেছে। আমি প্রতিবাদ করেছি। এরপর আমার উপর মারধর করা হয়েছে। তারা ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে ইলুর কাছ থেকে। ইলুর ৩ ছেলে ফোরকান, মো: হাসান, মৌলভী নেছার ও ভাইয়ের ছেলে রিদুয়ান মেস্ত্রীসহ ৫/৬ জন নিকট আত্মীয় ঢালার মুখ থেকে মধুখালীতে এসে ইলুকে নিয়ে গেছে। ইলিয়াছ প্রকাশ ইলুর ভাইয়ের ছেলে মো: রিদুয়ান জানান, আসলে এটি ভূল বুঝাবুঝি। ফরিদ মাঝি আমার স্ত্রীর ভগ্নিপতি। মধুখালীতে এটি আসলে কিছু রং ছিটানো কান্ড। টইটংয়ের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছিলাম সকালে। ফারুক আসলে খারাপ ছেলে। ফরিদ মাঝিকে হামলার এ দু:সাহস কিভাবে পেল। এর আগেও চুরি চামারির বিষয়ে আমার এখানে বিচার হয়েছে। ফারুককে আইনের আওতায় না আনলে আরো বেপরোয়া হবে। বিষয়টি আমি দেখছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি