কক্সবাজারের পেকুয়ায় পুত্রবধূর হামলায় বয়োবৃদ্ধ শাশুড়সহ ২ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১ জন স্কুল ছাত্রীও রয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ১১ জুন (শনিবার) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ মেহেরনামা বাজারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জখমীরা হলেন ওই এলাকার ফজল কাদের (৭৫) ও মেয়ে ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী নুসরাত জাহান শিফা (১৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন বিকেলে দক্ষিণ মেহেরনামা বাজারপাড়ায় ফজল কাদের ও তার ছেলে নেজাম উদ্দিনের স্ত্রী মিনু আরা বেগমের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে পুত্রবধূ মিনু আরা বেগম ধারালো দা নিয়ে বয়োবৃদ্ধ শাশুড় ফজল কাদেরকে মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে ফজল কাদেরের মেয়ে ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী নুসরাত জাহান শিফা বয়োবৃদ্ধ পিতাকে উদ্ধার করতে যান। এ সময় মিনু আরা বেগম ও তার স্বামী নেজাম উদ্দিন নুসরাত জাহান শিফাকে চুলের মুঠি ধরে টানা হ্যাচড়া করে মাটিতে লুটিয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে তারা ওই ছাত্রীকে তলপেটে লাথি ও কিল, ঘুসিতে আহত করে। প্রত্যক্ষদর্শী মো: কাইছারের স্ত্রী রুমি আক্তার বলেন, মিনু আরা ও আমি জা। আমরা ২ জন ওই পরিবারের পুত্রবধূ। বড় ভাই নেজাম উদ্দিন অনেক আগে থেকেই বৃদ্ধ পিতামাতাকে মারধরসহ মানসিক অত্যাচার করছিলেন। ঘটনার দিন তারা স্বামী-স্ত্রী এসে আমার শাশুড় ও ননদ শিফাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। আমার শাশুড়ের কাছে টাকা ছিল। তারা ৩০ হাজার টাকা ও দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। হামলার পর টমটম নিয়ে পালানোর সময় স্থানীয়রা আটকানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু তারা দ্রæত পালিয়ে যায়। ফজল কাদেরের ছেলে নেজাম উদ্দিন জানান, আমার বাবার বয়স হয়েছে ৭৫ বছর। তাকে মাথায় দা কুপানো হয়েছে। চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়। আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ভয়ংকর মহিলা। প্রত্যক্ষদর্শী অনার্সের ছাত্রী তাবাচ্ছুম জানান, এ ঘটনার পর তারা স্বামী-স্ত্রী পালিয়ে গেছে। বৃদ্ধ ফজল কাদের আহত হয়েছে। এ খবর জানাজানির পর অনেক মানুষ রাস্তায় বের হয়। জসিম উদ্দিনের স্ত্রী রওশন আরা জানান, খোদ একজন পিতাকে স্ত্রীকে দিয়ে এ ভাবে হামলা মধ্যযুগীয় বর্বরতার চেয়ে ভয়ংকর। ছৈয়দা খাতুন জানান, আমরা এ ধরনের হামলা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছি। কেমন ছেলে ও এমন ছেলের বউ কেন হয়। পেকুয়া থানার ওসি ফরহাদ আলী জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তপক্ষকে আইনী সহায়তা দেয়া হবে।