• শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০২:১৬ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
মালুমঘাট দিশারী সমিতির কমিটি গঠন ও ইফতার মাহফিল,আলোচনা সভা সম্পন্ন ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে তৃনমুলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করেছে সরকার – পলক ঠাকুরগাঁওয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীকে সাইকেল ও নগত অর্থ প্রদান তিন মাসে ৫৬ সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন — আইন ও সালিশ কেন্দ্র কোটচাঁদপুরে দুই মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ১ সংযুক্ত আরব আমিরাতে মৃত্যুবরণ করা চকরিয়ার তিন প্রবাসীর জানাজা সম্পন্ন ঝিনাইদহ পৌরসভার কলাবাগানপাড়ারতিনটি রাস্তার কাজের উদ্বোধন ঝিনাইদহ হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবার উদ্বোধন যশোরে টিসিবির পণ্য কিনতে আসা নারী পুরুষের উপচে পড়া ভিড় কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা ফারুকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদা নওয়ার অভিযোগ না দিলে মামলা

সন্তানদের কান্নার আহাজারি; সবকিছু হারিয়ে ব্যাকুল স্বামী

জিয়াউল হক জিয়া,চকরিয়াঃ / ১৬৬ Time View
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০২২

হৃদয়হীন,পাষান মনের অধিকারী রোকেয়া বেগম(৩৬)। সেই রমনীর রাকিবুল হাসান(১২), মোঃইব্রাহীম(৯), ইসমাইল হোছেন(৭) ও উম্মে হাবিবা(৪)সহ চার সন্তানের জননী। তবুও মন থেকে দূর করতে পারেনি,পরকিয়া প্রেমের নেশা। সেই সুখময়-দুঃখেক্ষয় প্রেমের জ্বলে ডুবে মরে।দাহিক্য সুখ,চোখের তৃপ্তি মেটাতে কৌশলে গত ৩মে শাশুড় বাড়ী থেকে বেড়াতে যাই,বাপের বাড়ী। প্রেমের জ্বালা মেটাতে সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তার তিন সন্তানের মায়া ত্যাগ করে, অবিবাহিত লুতু মিয়ার হাত ধরে উধাও হয়ে যায়। ফলে”মা”হারা অবুঝ তিন শিশুর কান্নার আহাজারিতে ভারি হয়ে যাচ্ছে আকাশ-বাতাস। এদিকে রোকেয়া বেগম তিন সন্তান পেলে কন্যা সন্তান উম্মে হাবিবাকে নিয়ে এখন অন্যের ঘরনি বনে যায়।

এতক্ষন বলছিলাম পার্বত্য লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পাগলির আগা এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মোঃ হোছন(৪৬)নামের হতভাগা সংসার ছাড়া স্ত্রী রোকেয়া বেগম(৩৬) এর কথা।

হতভাগা চার সন্তানের জনক মোঃ হোছন জানান, আমার স্ত্রী রোকেয়া গত ৩মে বাপের বাড়ীতে বেড়াতে যান। আমার একই এলাকার মৃত মোঃ পেঠানের অবিবাহিত ছেলে লুতু মিয়ার খপ্পরে পড়ে রোকেয়া তার হাত ধরে পালিয়ে যায়।কিন্তু রোকেয়া যে পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে হাবুডু খাচ্ছে আমি বুঝতে পারেনি,কল্পনাও করেনি। কারণ আমরা তিন ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের মা,বাবা হয়েছি।দুঃখের বিষয়-আমার জায়গা জমি বিক্রিত সাড়ে ৫লাখ টাকা আর ৪ভরি স্বর্ণালংকার সহ জাযগা জমি বন্ধকীয়,ক্রয়কৃত জমির দলিল,ব্যাংক একাউন্টের চেক বহি সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি নিয়ে গেছে।রোকেয়া আমার অবুঝ তিন শিশু ছেলেদের পেলে,ছোট্র শিশু উম্মে হাবিবাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। খবরটি শুনে তার বাপের বাড়ী গেলে,তার খালা শিবু খাতুন,ভাই আবুল কালাম,তাহের উদ্দিন, বাহার উদ্দিনেরা আমাকে বলেন, রোকেয়া রাতের আধারে কোথায় গেছে জানিনা। সুতরাং তোমার সন্তানদের নিয়ে যাও।আমি আমার তিন ছেলে সন্তানদেরকে নিয়ে বাড়ীতে চলে আসি।পরে রোকেয়ার খোঁজ খবর নিতে গিয়ে জানতে পারি লুতু মিয়া,তার মা আমেনা খাতুন আর ভাই কালাম মিলে আমার স্ত্রীকে নিয়ে যায়। এঘটনায় আমার শাশুড় বাড়ীর সুবন্ধি-শালারাও জড়িত রয়েছেন।বর্তমানে আমি অবুঝ সন্তানদের বাবা ও মা হয়ে গেলাম।অপরদিকে আমার অর্জিত সহায় সম্পদ বিক্রিত জমানো টাকা,স্বর্ণালংকার মিলে সর্বস হারিয়ে ব্যাকুলতায় দিনাতিপাত করছি। এরপরও লুতু মিয়া আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।সুতরাং আমি এর প্রতিকার পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এবিষয়ে চার সন্তানের জননী রোকেয়া বেগমকে বিয়ে করা লুতু মিয়ার সাথে কথা বললে,তিনি জানান,রোকেয়া আমাকে দীর্ঘদিন ধরে ভালবেসে আসছে।তাই রোকেয়া গত ১২মে তার প্রথম স্বামী মোঃ হোছনকে তালাক প্রদান করায়,১৩মে আমি তাকে বিয়ে করেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি