কক্সবাজারের পেকুয়ায় রাজাখালী ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দল আ’লীগ ইউনিয়ন কমিটির সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে ভোটেই সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। প্রত্যক্ষভোটে আবারো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বিএসসি। সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শ্রমিক নেতা নাছির উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাজাখালী ইউনিয়ন আ’লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরের দিকে এ উপলক্ষে রাজাখালী ইয়ার আলী খান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল আলোচনা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বৈরী আবহাওয়া ও মুষলধারা প্রচন্ড বৃষ্টিপাতের মধ্যেও সমাবেশ প্রত্যক্ষ করতে বিপুল পরিমাণ লোকজন সমাগম হন। ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসির সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম আজাদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়ার জাতীয় সংসদ সদস্য জাফর আলম বিএ(অনার্স)এমএ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ সহসভাপতি রেজাউল করিম। বক্তব্য দেন জেলা আ’লীগ সদস্য জিএম আবুল কাসেম, এস,এম গিয়াস উদ্দিন, উম্মে কুলসুম মিনু, জেলা আ’লীগ সদস্য ও বরইতলীর সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম জিয়া উদ্দিন জিয়া, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বিএ, সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম, রাজাখালীর ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগ যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল, উপজেলা আ’লীগ যুগ্ম সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচী, টইটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ বারেক প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগ নেতা এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, আ’লীগ নেতা এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা আ’লীগ নেতা মফিজুর রহমান, সাইফুদ্দিন খালেদ, আবুল শামা শামীম, জাকিরুল ইসলাম, রাজাখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর, ইউনিয়ন আ’লীগ সহসভাপতি হাজী সেকান্দর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার মোহাম্মদ হোসাইন, আবু তাহের মাতবর, যুগ্ম সম্পাদক এতেরাব সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ছৈয়দুল আলম জনি, প্রচার সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সিকদার, আ’লীগ নেতা ছৈয়দুল হক, সাবেক ছাত্রনেতা আবুল মোস্তফা, মাষ্টার আবুল মোস্তফা, সাবেক ছাত্রনেতা আবু ছালেক, উপজেলা আ’লীগ নেতা মাষ্টার নুর মোহাম্মদ, উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসাইন, আ’লীগ নেতা জহির মাতবর, আবু তাহের, হাসেম পিটার, মিন্টু মাঝি, মাষ্টার আবু ছালেহ, মৎস্যজীবিলীগের সভাপতি মনছুর আলম, তরুণ আ’লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম, ১ নং ওয়ার্ড আলীগের সভাপতি ইদ্রিস সওদাগর, সম্পাদক আহমদ নবী, ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি নেজাম উদ্দিন নেজু মেম্বার, সম্পাদক মুহাম্মদ রিদুয়ান, ৩ নং এর সভাপতি ছরওয়ার ওসমান, সাধারন সম্পাদক আবুল বশর, ৪ নং সভাপতি ফজল কাদের, সম্পাদক আশরাফ আলী, ৫ নং সভাপতি আবুল মোস্তফা, সাধারন সম্পাদক শামশুল আলম, ৬ নং সভাপতি শেফায়াত উল্লাহ মনু, সাধারন সম্পাদক সেলিম উল্লাহ, ৭ নং সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক মো: আরকান, ৮ নং সভাপতি ছরওয়ার আলম, সম্পাদক বাদশাহ মাঝি, ৯ নং সভাপতি জমির হোসেন, সাধারন সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, যুবলীগ সাধারন সম্পাদক আনসারুল ইসলাম টিপু, উপজেলা মহিলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ছেনুয়ারা মেম্বার, সাবেক নারী এমইউপি মোহছেনা বেগম, আ’লীগ নেতা হাজী নুরুচ্ছফা, তৈয়ব চৌধুরী, যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম, শ্রমিকলীগ নেতা নেজাম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আজিজুল হক, স্থানীয় ইউপি সদস্য ছমিউল্লাহ, উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা মো: জকরিয়া সওদাগর, টইটংয়ের প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী শাহাব উদ্দিন, টইটং আ’লীগ সভাপতি ছরওয়ার কামাল চৌধুরী, মৎস্যজীবিলীগ সভাপতি আবু তাহের, সম্পাদক মিনহাজ, ছাত্রলীগ সভাপতি বেলাল উদ্দিন, সম্পাদক ইমরান হোসেন শাবিম, ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা ওবাইদু, আনসারুল ইসলাম, কৃষকলীগ নেতা আবু ছালেক, সাহাব উদ্দিন, আবু বক্কর প্রমুখ। এ দিকে ওই দিন ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এ দুটি পদে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কাউন্সিলারদের প্রত্যক্ষ ভোটে ব্যালটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক কমিটির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বিএসসি। তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী মাষ্টার নুর মোহাম্মদকে পরাজিত করেছেন। সাধারন সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন শ্রমিক পরিবহন সংগঠনের নেতা ও আ’লীগ উদীয়মান নেতা মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন। ওই পদে প্রার্থী ছিলেন ৩ জন। তার নিকটতম প্রার্থী ছিলেন জহির উদ্দিন।