• শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৫৬ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
মালুমঘাট দিশারী সমিতির কমিটি গঠন ও ইফতার মাহফিল,আলোচনা সভা সম্পন্ন ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে তৃনমুলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করেছে সরকার – পলক ঠাকুরগাঁওয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীকে সাইকেল ও নগত অর্থ প্রদান তিন মাসে ৫৬ সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন — আইন ও সালিশ কেন্দ্র কোটচাঁদপুরে দুই মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ১ সংযুক্ত আরব আমিরাতে মৃত্যুবরণ করা চকরিয়ার তিন প্রবাসীর জানাজা সম্পন্ন ঝিনাইদহ পৌরসভার কলাবাগানপাড়ারতিনটি রাস্তার কাজের উদ্বোধন ঝিনাইদহ হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবার উদ্বোধন যশোরে টিসিবির পণ্য কিনতে আসা নারী পুরুষের উপচে পড়া ভিড় কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা ফারুকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদা নওয়ার অভিযোগ না দিলে মামলা

খুলে দেয়া হয়েছে ভারতের গজল ডোবার সব গেট : আতঙ্কে লালমনিরহাটের মানুষ

বিবিসি একাত্তর ডেস্ক / ১৫৮ Time View
আপডেট : শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২

টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও ভারতের গজল ডোবার সব গেট খুলে দেয়ায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছাপিয়ে পানি ঢুকে পড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে। তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা কাটাচ্ছে নির্ঘুম রাত।

পানি প্রবাহ বেড়ে তলিয়ে গেছে বাদাম, মরিচ, পেঁয়াজ, মিষ্টি কুমড়া ও ভুট্টাসহ বিস্তীর্ণ চরের বিভিন্ন উঠতি ফসল। অন্তত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ হাঁটু বা কোমর পানিতে বন্দিদশায় আছেন। এসব মানুষের হাতে এখনও পৌঁছেনি কোনো সহায়তা। দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে ৪৪টি স্লুইসগেট খুলে রাখা হয়েছে।

শনিবার দুপুর ২টায় পানি প্রবাহ ছিল ৫২ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার। পানি বিপৎসীমার পরিমাপ হচ্ছে ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। যা বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে তিস্তা নদীর তীরবর্তী লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার এলাকার চর ও নিম্নাঞ্চলে মানুষের বাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। তবে আবার যে কোন সময় পানিবন্দি হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

শুক্রবার তিস্তা ব্যারাজে সকাল ৬টায় নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। নদীর পানি বাড়ায় তিস্তা তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চলে কয়েক শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, নদীর পানি কমায় আমাদের বাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। তবে দুর্ভোগ এখনও কমে যায়নি। তবে গোটা এলাকা কাদাময় রয়েছে। আবার উজান থেকে ধেয়ে আসা ভারতের পানি কখন সবকিছু ডুবিয়ে দেবে তা বলা মুশকিল।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম‌্যান মশিউর রহমান বলেন, পানি কমেছে। তবে কতক্ষণ এ অবস্থা থাকে এটাই দেখার বিষয়। বৃষ্টির পানির চেয়ে উজান থেকে নেমে আসা পানিই তিস্তা নদীর অবস্থার পরিবর্তন করে। তাই বর্ষা আসলেই নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি না। কখন সবকিছু ডুবিয়ে নিয়ে যাবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা ব‌্যারাজ শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, তিস্তার পানি অনেক কমে এসেছে। আজ দুপুরে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমলেও আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি সবসময়। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
সূত্র : ইউএনবি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি