গরীবের ডাক্তার হিসেবে খ্যাত প্রয়াত ডা. শম্ভু দে’র দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চকরিয়া পৌরশহরের ওসান সিটি মার্কেটের ২য় তলায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রয়াত ডা. শম্ভু দে’র সহধর্মিনী রূপালী রাণী দে’র নেতৃত্বে ও তাঁর পরিবারের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। এবছর প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পের শুভ উদ্বোধন করেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী ও চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রয়াত ডা. শম্ভু দে’র ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গরিব, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদেরকে বিনামূল্যে বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়।
এ ছাড়াও বিনামূল্যে ব্লাড গ্রুপ নির্ণয়, ডিজিটাল এক্সরে, ফিজিওথেরাপী, প্লাস্টার করানো, সার্জিকেল সামগ্রী বিতরণসহ নানা জাতীয় রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অর্থোপেডিক্স সার্জারী ডা. সুজন ত্রিপুরা ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সাবেক মেডিকেল অফিসার (অর্থো-সার্জারী) ডা. কাজী মো. কেফায়েত উল্লাহ।
এসময় সাথে ছিলেন- চকরিয়া পুজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার তেজেন্দ্র লাল দে, পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ, চকরিয়া উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, প্রয়াত ডাক্তার শম্ভু দে’র সহধর্মীনি শিক্ষিকা রুপালী দে, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চকরিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের অর্থ সম্পাদক সুজিত দাশ, চকরিয়া জুয়েলারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ন কান্তি দাশ, জুয়েলারী সমিতির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নেপাল দে, প্রয়াত ডাক্তার শম্ভু দে’র ভাইপো উজ্জল দে শিমুল, প্রয়াত ডাক্তার শম্ভু দে’র শ্যালক সরোজ দে, প্রয়াতের বড় ছেলে দিপন দে তুষার ও ছোট ছেলে শিপন তানসেন দে প্রমুখ।
প্রয়াত ডাক্তার শম্ভু দে’র সহধর্মীনি শিক্ষিকা রুপালী দে বলেন, আমার স্বামী এই অঞ্চলের একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক ছিলেন। বিশেষ করে হাঁড়ভাঙ্গার চিকিৎসার জন্য আমার স্বামী খুব প্রসিদ্ধ ছিলেন। তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন মানবকল্যাণে কাজ করে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, তিনি জীবদ্দশায় মানুষের জন্য সে সেবা করে গেছেন তার স্মৃতির প্রতি সম্মান রেখে ফ্রি চিকিৎসা সেবা পালন করে যাচ্ছি। আমার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর এই চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম অভ্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, গত বছর প্রায় তিন শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছিল। এবছর প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, ডাক্তার শম্ভু দে যখন চিকিৎসা শুরু করেছেন তখন এই অঞ্চলে হাঁড়ভাঙ্গা রোগের ডাক্তার ছিলোনা। তিনিই একমাত্র ভরসাস্থল ছিলেন। তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক হয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামে যে খ্যাতি অর্জন করেছেন তা খুব প্রসংশনীয়।