কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নগদ কোম্পানির উদ্যোক্তা পয়েন্টে টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা কুতুব বাজারে ঘটেছে এ ঘটনা।
বরইতলী গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাধিক অভিভাবক জানান, তাদের বাচ্চাদের নামে সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত উপবৃত্তির টাকা (১০১৫ টাকা) তাদের মোবাইলে নগদ একাউন্টে আসলে, উক্ত টাকা উত্তোলনের জন্য পহরচাঁদা কুতুব বাজারে নগদ কোম্পানির উদ্যোক্তা সাইফুল লাইব্রেরীতে গেলে, নগদ কোম্পানির উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম ১১৫ টাকা করে রেখে দিয়ে ৯০০ টাকা করে প্রদান করে।
পহরচাঁদা কুতুব বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু পহরচাঁদা এলাকায় ছয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় দেড় হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানান।
নগদ কোম্পানির উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম জানান, যাদের আগে থেকে নগদ একাউন্ট নেই তাদের হালনাগাদ করতে একশত টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। একটা একাউন্টের পিন কোড দিতে নগদ অফিস থেকে তিন থেকে চার ঘন্টা সময় নেন বলেও জানান।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত একশত টাকা করে ছয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকার চেয়ে বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই নগদ কোম্পানির উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম।
নগদ কোম্পানির চকরিয়া উপজেলা ডিলারের ছোট ভাই পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইফতেখার ইসলাম হানিফ বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের নিজস্ব নাম্বারে সরাসরি টাকা ঢুকে যায়, এখানে ডিলারের কোন হাত নেই।
নগদ কোম্পানির কক্সবাজারের এরিয়া ম্যানেজার মোঃ আনোয়ার জানান, নগদ একাউন্ট খুলতে বা হালনাগাদ করতে কোন ধরনের ফিঃ/টাকা লাগেনা। কেউ যদি নগদ কোম্পানির কথা বলে অতিরিক্ত টাকা কেটে রাখে, তাহলে তার এজেন্ট/উদ্যোক্তা অনুমোদন বাতিল করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান বলেন, নগদ কোম্পানির যে সমস্ত এজেন্ট বা উদ্যোক্তারা গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা কেটে রাখছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।##