কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারাতে বাড়ী রক্ষায় খাল দখল করে বাউন্ডারি নিমার্ণ করা হয়েছে।ফলে পাঁকা বাউন্ডারি ওয়ালের সাথে উজান থেকে আসা বর্ষা মৌসুমের ঢলের পানি ধাক্কা লেগে অন্যপাশ ভেঙ্গে পড়ার অভিযোগ এলাকাবাসীর।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,পার্বত্য পাহাড়ী অঞ্চল বয়ে আসা প্রবাহমান দুলাখালটি মিলিত হয় জোয়ার-ভাটা সংযোগ কাটাখালী খাল হয়ে মহেশখালী নদীতে পতিত।এই খালটি ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ডাকবাংলো পাড়ার উপর দিয়ে প্রবাহমান।তাই ডাকবাংলো এলাকায় খালের ঘাঁ-ঘেষা দক্ষিণ পাশে বসবাস করছেন অনেকেই।তারমধ্যে এই এলাকার আব্দু শুক্কুরের ছেলে প্রবাসী নাজেম উদ্দিন খালটি ঘেষা পাড় ক্রয় করে নিমার্ণ করেন সেমিপাঁকা বাড়ী।তবে বর্ষা মৌসুমের উজান থেকে আসা ঢলের পানি হতে রক্ষা পেতে খালের কিছু অংশ দখল করে গড়ে তুলেন বাউন্ডারি।এই বাউন্ডারি দেওয়ার ফলে বর্ষা মৌসুমের উজান থেকে আসা ঢলের পানি ধাক্কা লেগে খালের উত্তরপাশ সহ বিভিন্ন স্হানে পাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে।বিধায় হুমকির মূখে পতিত হচ্ছে ফলসি জমি ও ঘরবাড়ী।এলাকাবাসীর দাবী এই জায়গাগুলো কিছু খতিয়ানি আর কিছু খাস।এখন তারা সবটুকু দখল করেছে। এদিকে খালে নামিয়ে বাউন্ডারি না দেওয়ার অনুরোধ জানান এলাকার সচেতন মহল।যারা বাউন্ডারি নিমার্ণে বাঁধা দেন,এমন কথেক ব্যক্তিকে হুমকিও দেন নাজেমের স্ত্রী।কারণ নাজেমের স্ত্রী নাকি কাটাখালীর বাসিন্দা তাই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে দখলদার বেগম নাজেম জানান,তারা খতিয়ানভূক্ত বসতবাড়ী উপযোগী জমি ক্রয় করেন।তাদের ক্রয়কৃত জায়গা যতটুকু রয়েছেন।সেটুকুতে বসতবাড়ী নিরাপত্তার কাতিরে চর্তুপাশে বাউন্ডারি দিয়েছেন।এতে অন্যের কোন ক্ষতি কিংবা খাল দখলে পানি চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করেনি বলে দাবী করেছেন।
স্হানীয় ওয়ার্ড মেম্বার রিয়াজ উদ্দিন সিপু বলেন,দুলাখালে নেমে দখলস্হিতিতে পাঁকা বাউন্ডারি দেওয়ার খবর পাইনি।কেউ আমাকে এবিষয়ে অবগতও করেনি।এখন জেনেছি যেহেতু আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্হা নেওয়ার জন্য চেয়ারম্যানকে জানাবো।
এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কক্সবাজার জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী ড,তানজির সাইফ আহমেদ বলেন,খাল দখল বিষয়টি অজানা।এখন যেহেতু জেনেছি,অবশ্যই এবিষয়টি নিরসনে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।