কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিয়ের চুক্তি ভঙ্গ করে মা ও ছেলে নামে অপরহণ মামলা দায়েের করেন,মেয়ে জন্নাতুল মাওয়ার মা। গত ২৯জুন মেয়েটির “মা”নাহিদা আরেফীন (৩৭) বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-১,কক্সবাজার এর মামলাটি দায়ের করা হয়।যার সিপি মামলা নং-২৩১/২২ইং। মামলার বাদী নাহিদা আরেফীন (৩৭) উপজেলার খুটাখালী ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়ার প্রবাসী নুর আহমদের স্ত্রী। মামলার আসামী,খুটাখালী ইউনিয়ের ২নং ওয়ার্ডের মধ্যম মেদাকচ্ছপিয়া এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে ফরহাদুল ইসলাম তুষার(২৫) ও তার স্ত্রী রাজিয়া সোলতানা। মামলার ২নং আসামী রাজিয়া সোলতানা জানান,আমি খুটাখালী ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ ওয়ার্ডের দুই বারের নির্বাচিত সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা হই।আমার অজান্তে,আমার ছেলে ফরহাদের সাথে নাকি নাহিদার মেয়ে জন্নাতুল মাওয়া মধ্যে প্রেম,ভালবাসা গড়ে উঠে।যে সম্পর্কের কথা পূর্বে থেকে মেয়ের মা অবগত আছে।এমতাবস্থায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েটিকে তারা বিয়ে দিতে চাইলে,গত ১০জুন মেয়ে ও ছেলে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়।তিনদিন ধরে ছেলেটি কেন বাড়ী আসছে না,কোথায় গেল?কি হয়েছে?মোবাইল বন্ধ রাখায় যোগাযোগ পায়নি।এমন সময় আমি আমার ছেলেটি খোঁজাখুঁজি করছি।এমতাবস্থায় হঠাৎ মেয়েটির মা নাহিদা আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানান।পরে আমি মেয়েটির বাড়ীতে যাই।তখন আমি মেয়ের মায়ের মোবাইল থেকে আমার ছেলে ও মেয়ের সাথে কথাবলি।এরপর বিষয়টি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বারকে জানাই।তখন সকলের পরামর্শ মতে তাদেরকে বাড়ীতে চলে আসতে বলি।আমাদের কথা মতে ছেলে ও মেয়ে বাড়ীতে আসলে গত ১৪জুন আমাদের দুই পরিবারকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল আউয়াল,৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও ৭,৮,৯ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পারভীন আকতার সহ আরো ২/১জন স্হানীয় লোক নিয়ে বৈঠকে বসি।বিচারিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত মতে নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প মূলে বিবাহের চুক্তিপত্র লিপিবদ্ধ করি।চুক্তিপত্রে মতে মেয়ের বয়স তিন বছর অপূর্ণ থাকায় এখন তাদের বিয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ।তাই মেয়ে বয়স পূর্ণ হলে চুক্তিপত্রে উল্লেখ ঠিকফর্দ্দে মতে বিবাহ সম্পন্ন হবে।ততদিন ছেলে ও মেয়ে নিজ-নিজ বাড়ীতে থাকবে।তবে দুই পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে।এরমধ্যে এক পরিবার আরেক পরিবারের বিরুদ্ধে কোন ধরণের মামলা মোকদ্দমা বা অভিযোগ করতে পারবেনা বলে লিপিবদ্ধ হয়েছে।বিচারে এই সিদ্ধান্ত উপনিত হয়ে চলে আসি।এই সুযোগে মেয়েটির মা তার মেয়েকে বাড়ীতে জিম্মি রেখে অন্যত্রে আবারো বিয়ে দেওয়ার কথাবার্তা পাকা করেছে যেনে গত ২৬জুন ছেলে ও মেয়ে আবারো পালিয়ে যায়।আমি আমার ছেলের খোঁজ না পেয়ে মেয়ের মা থেকে আমার ছেলে ওখানে গেছে কিনা জানতে চাই।এসময় মেয়েটির মা জবাব দিল তারা দুইজনই ফের পালিয়েছে।কেন ছেলে ও মেয়ে ফের পালিয়ে গেল এর জের ধরে গত ২৯ জুন আমাকে সহ আমার ছেলের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে অপহরণ মামলা দায়ের করেন মেয়ের নাহিদা।ছেলে ও মেয়ের প্রেম,ভালবাসার বিষয়টিও প্রথম থেকেই মেয়ের মা জানতো।এখন এলাকাতে আমার সম্মানহানি করার পায়তারাতে এহেন কর্মকান্ড শুরু করেছে মেয়েটির পরিবার।তাই আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি বলে জানিয়েছেন।