• সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
আদালতের দ্বারস্থ হয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করাতে হবে : কাদের খালেদা জিয়ার চিকিৎসার আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের ‘না’ সংসদে প্রকৃত বিরোধী দল না থাকায় জনপ্রত্যাশা পূরণে ঘাটতি : টিআইবি ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে দৈনিক ডেল্টা টাইমস পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ভাতা লোপাটের অভিযোগ “প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তালা বদ্ধ করে বিক্ষোভ” সভাপতি সেকাব উদ্দিন, সেক্রেটারী ফোরকান: মগনামা লঞ্চঘাট ব্যবসায়ী সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন প্রেমের ফাঁদে ফেলে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই রুবির পেশা সিংড়ার আয়েশ মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর সমাবেশ খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে হলে আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে : শেখ হাসিনা

ব্যাংকের ঋণ শোধের টেনশনে স্ট্রোক করে মারা যান আনোয়ারা

চকরিয়া প্রতিনিধি / ১৫৮ Time View
আপডেট : শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২

চকরিয়ায় ব্যাংকের ঋণ শোধের টেনশনে স্ট্রোক করে মারা যান আনোয়ারা বেগম(৪৩) নামের এক গৃহিনী, ইন্নালিল্লাহি……রাজিউন।

শনিবার (২জুলাই) সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্হায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

চিরনিদ্রায় শায়িত গৃহিনী আনোয়ারা বেগম (৪৩) উপজেলার খুটাখালী ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের আবুল কালাম প্রকাশ রিক্সা চালক কালামের স্ত্রী।

কেন স্ট্রোক করল জানতে চাইলে আবুল কালাম জানান,কয়েক বছর আগে আমার বড় মেয়ের বিয়ে দিই। এসময়ও টাকার প্রয়োজনে ঋণ নিয়েছিলাম।এরপর হঠাৎ আমি জঠিল রোগে আক্রান্ত হয়।তখন আরেকটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিই। এমতাবস্থায় আমার স্ত্রীও কঠিন রোগে পড়ে।তখন অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছি।এরপরে ছেলে একটি এ্যাকসিডেন্ট হয়েছিল। এভাবে করতে-করতে এখন গ্রামীণ ব্যাংক, আশা ব্যাংক, পদক্ষেপ ব্যাংক, ব্যুরো ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, প্রত্যাশী ব্যাংক ও একটি বাড়ী, একটি খামার থেকে ক্রমান্বয়ে ঋণ নিতে হয়েছিল। কিন্তু আমি পেশায় একজন রিক্সা চালক।আমার দুই মেয়ে, দুই ছেলে আছেন। আমি রিক্সা চালিয়ে অতি কষ্টের বিনিময়ে ব্যাংকের ঋণ শোধ করে যাচ্ছি। কিছুদিন আগে আমার অটোরিক্সাটির ব্যাটারী ডাউন হয়ে যায়। ফলে রিক্সাটি চালাতে না পেরে সংসারে অভাব দেখা দেয়। বড় বিষয় হলো ইনকাম না থাকায় আর ব্যাংকের কিস্তি দিতে পারেনি। তখন ব্যাংকের ঋণ উত্তোলনকারী সাহেবেরা কিস্তি না পেয়ে সকাল-সন্ধ্যা বাড়ীতে আসতে থাকে। যে সময় বাড়ীতে খাবার নেই,এসময় কিস্তি দিতে না পারায়, আমার স্ত্রী সাহেবদের বিরতকর কথাবার্তা সহ্য করে উঠতে না পেরে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ীতে স্ট্রোক করে মাটি ঢলে পড়ে। পরে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।চিকিৎসা চললেও জ্ঞান না ফিরেই আমাদের থেকে চির বিদায় নিয়ে পরপারে চলে যান।শনিবারে আসরের নামাজের পরে জানাজার নামাজ আদায় করে, দাফন সম্পন্ন করেছি। তাই আমি ঋণ নেওয়া ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তার কাছে ঋণ মওকূফের আবেদন করছেন বলে জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি