কক্সবাজারের পেকুয়ায় কারামুক্ত যুবলীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার সাবেক সহসভাপতি জিয়াবুল হক জিকুকে সংবর্ধিত করা হয়েছে। ৮ জুলাই (শুক্রবার) বিকেলে যুবলীগের ওই নেতাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে বিকেলে উজানটিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া চৌধুরী ষ্টেশনে সংক্ষিপ্ত সংবর্ধনা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উজানটিয়াবাসীসহ সর্বস্তরের পেকুয়া উপজেলাবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে যুবলীগের সাবেক ওই নেতা বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আমি অস্ত্রধারী নয়, একজন শিক্ষক। আমার অনেক ছাত্র কলেজ, ভার্সিটিতে পড়ালেখা শেষ করে উচ্চতর অবস্থানে পৌছেছে। আমার ছাত্ররা আজকে প্রশাসনসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালন করছে। সে দিন আমার উপর যা হয়েছে তা আমাদের প্রতিপালকতো দেখেছেন। আমি মহান আল্লাহকে এর বিচার দিয়েছি। তিনি সবকিছুর মালিক ও প্রতিপালক এ কথা সবাইকে স্মরণ করতে হবে ও মানতে হবে। একটি ফাঁসানো কাল্পনিক ঘটনা মঞ্চস্থ করে সরকারের বিশেষ বাহিনীকে ম্যানেজ করে আমাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। দুপুরে আমাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় নিরস্ত্র অবস্থায়। আর রাতে দেওয়া হয়েছে একটি অস্ত্র। আপনারা জনগন এজাহার দেখলে বুঝতে পারবেন এ ঘটনা কতবড় জঘন্যতম ও পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে আটকের আগেই তারা অস্ত্রের জব্দ তালিকা তৈরী করে ফেলেছে। মামলা মোকদ্দমা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের ভীত করা যায়না। কিছু খন্দকার মোস্তাক ও বেঈমানদের কাছে আজকে পেকুয়ার আওয়ামীলীগের দু:সময়ের নেতা-কর্মীরা নিষ্পেষিত হচ্ছে। আমাকে সম্মেলনের আগে পরিকল্পিতভাবে সরানো হয়েছে। উজানটিয়ার মানুষ বুঝে গেছে এখানে আমরা সাধারণ মানুষের পক্ষে রাজনীতি করি ও কথা বলি। আমি ও আমার পরিবারের মধ্যে বিন্দুমাত্রও ত্রæটি নেই। আমরা সবাই আওয়ামীলীগ করি। এ হচ্ছে আমাদের অপরাধ। এ সময় বক্তব্যে উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক, অবিভক্ত মগনামা ও উজানটিয়া ইউপি থেকে নির্বাচিত সাবেক মেম্বার সিরাজুল মোস্তফা জানান, দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতিবাদ ছিল বলে আজকে জিকু দ্রæত সময়ে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা করছি যে কোন অবিচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে জনগনকে সাথে নিয়ে মোকাবেলা করবো। আগেও করেছি,্ এখনো করছি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন মানুষের অধিকারের জন্য সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পেকুয়ার আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মী। উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জালাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশ প্রত্যক্ষ করতে উজানটিয়া ইউনিয়নের বিপুল লোকজন ও ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হন। এর আগে কারামুক্ত যুবলীগের এ নেতাকে বরণ করা হয়েছে। চকরিয়া থেকে সড়কপথে জিয়াউল হক জিকুকে পেকুয়ার সীমান্তবর্তী বাঘগুজারা ব্রীজে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় নেতা-কর্মীরা গাড়ীবহর নিয়ে মাতামুুহুরী নদীর উপর নির্মিত সেতুর নিকট অবস্থান নেয়। কয়েকশত মোটর বাইক নিয়েও যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জিকুকে বরণ করতে শো-ডাউনে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় জিকু পেকুয়ায় পৌছানোর মুহুর্তে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করা হয়। সেখান থেকে গাড়ীবহর নিয়ে পেকুয়া কলেজ গেইট চৌমুহনী, কবির আহমদ চৌধুরী বাজার হয়ে সোনালী বাজার ও করিমদাদ মিয়া জেটিঘাট গিয়ে শো-ডাউনের সমাপ্তি হয়।