• রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
পেকুয়ায় চোরাই মালামালসহ পিকআপ জব্দ চিংড়ি ঘের নিয়ে উত্তেজনা: পেকুয়ায় কোর্টে গেলেন সাবেক স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর চাষা অস্থিতিশীল বাজার,লাগাম টানা না গেলে দায়ভার সরকারের অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের আর্থিক সহায়তা প্রদান দিনাজপুরে পুকুরে ডুবে ২ সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু ‘আওয়ামী লীগের সামনে দুইটি পথ খোলা; পতন কিংবা পলায়ন’ এতিমখানায় পড়ার সময় প্রেম, যুবকের বাড়িতে কিশোরীর অনশন ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৫০, বাংলাদেশি থাকার আশঙ্কা খুটাখালীতে আর কত প্রাণ ঝরলে,বনভূমি থেকে মুরগির খামার উচ্ছেদ হবে পেকুয়ায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে হাজির থাকতে প্রেমিক জুটিকে আল্টিমেটাম

বাংলাদেশে কোরবানির চামড়ার বেঁধে দেয়া দামে ভরসা নেই কেন

বিবিসি একাত্তর ডেস্ক / ১৫৪ Time View
আপডেট : শনিবার, ৯ জুলাই, ২০২২

বাংলাদেশে চামড়া ব্যবসায়ীদের চামড়া সংগ্রহের প্রধান মৌসুম ঈদুল আযহা। এক দশক আগেও যেখানে একটি গরুর চামড়া আকার ভেদে ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করা যেত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সেই একই চামড়া ৫০০ টাকাতেও বিক্রি করতে পারছেন না মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ফলে, আয় কমেছে এতিমখানাগুলোর।

পরপর কয়েক বছর কাঁচা চামড়ার বাজারে এই অস্থিরতা দেখা দিলে সরকার চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয়া শুরু করে।

তারপরও নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক কম দামে কাঁচা চামড়া কিনতে পারছে ট্যানারিগুলো। পানির দরে না বিক্রি করে অসংখ্য চামড়া ফেলে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

এর কারণ হিসেবে চাহিদার চাইতে যোগান বেশি হওয়া ছাড়াও চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে না পারার কথা বলছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

আবার ট্যানারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রক্রিয়াজাত করার খরচ এত বেড়ে গেছে যে সস্তায় কাঁচা চামড়া কিনলেও চামড়াজাত পণ্যের দাম বাড়াতে হচ্ছে।

পুরো ব্যবসাটা এখন সিন্ডিকেটের হাতে’
লালবাগের ব্যবসায়ী বাকি বিল্লাহ প্রতিবছর কোরবানির মৌসুমে বাড়ি বাড়ি থেকে না হলে এতিমখানা থেকে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে সেগুলো ট্যানারিতে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতেন।

তার মতো আশপাশের আরো অনেকেই এই ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিলেন। তবে, তিনি জানান গত তিন বছর লাখ লাখ টাকা লোকসান দেয়ার পর এবার আর এই ব্যবসা আর করবেন না।

‘ধরেন বড় একটা ট্রাকে প্রায় ১০ লাখ টাকার চামড়া নিয়ে গেছি। ট্যানারি বলে যে দুই লাখ টাকায় দিলে দাও না হলে যাও। এভাবে অনেকে চামড়া ফেলে দিতে হয়েছে। কোনো দামই দেয় না। এভাবে গত বছর আড়াই লাখ টাকার মতো লস করেছি। পুরো ব্যবসাটা এখন সিন্ডিকেটের হাতে। তারাই সব লাভ করবে আর কাউকে ব্যবসা করতে দেবে না।

সরকারের নির্ধারিত দামে ভরসা নেই
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গত মঙ্গলবার কাঁচা চামড়া সংগ্রহের দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এবার আগের তুলনায় প্রতি বর্গফুটে লবণযুক্ত গরুর চামড়া ৭ টাকা ও খাসির চামড়া ৩ টাকা বেশি দরে কিনতে হবে ট্যানারি মালিকদের।

অবশ্য চামড়ার দাম ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ভিন্ন হবে।

ঢাকায় লবণযুক্ত চামড়া কিনতে হবে ৪৭-৫২ টাকায়, যা গত বছর ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বর্গফুট হিসেবে কিনেছিলেন ব্যবসায়ীরা। এই দর তার আগের বছর বা ২০২০ সালে ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৪০-৪৪ টাকা দাম পড়বে। গত বছর এই দাম ছিল ৩৩-৩৭ টাকা। আর ২০২০ সালে ছিল ২৮ থেকে ৩২ টাকা বর্গফুট।

এছাড়া, সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়ার দাম নির্ধারণ হয়েছে ১৮ থেকে ২০ টাকা। গত বছর এই দাম ছিল ১৫ থেকে ১৭ টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ১৩ থেকে ১৫ টাকা।

তবে সরকারের এই নির্ধারিত দামে ভরসা নেই মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। ভরসা দিতে পাচ্ছে না সরকারও।

সরকার কী বলছে?
গত কয়েক বছরে চামড়ার বাজারে অস্থিতিশীলতার পেছনের কারণ হিসাবে চাহিদার তুলনায় বেশি যোগান এবং চামড়া সংরক্ষণের দুর্বলতার কথা বলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

তিনি বলেন, আগের চেয়ে এখন কোরবানি হচ্ছে বেশি। এক দিনে কোরবানি হওয়ার অতিরিক্ত সাপ্লাই থাকে। সে কারণেই দাম ওঠে না। তাছাড়া, কোরবানি যারা দিচ্ছেন তারা যদি লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে চামড়াটি এতিমখানায় দিতেন তাহলে চামড়া তিন মাস পর্যন্ত ভালো থাকতো, পরে দর কষাকষির সুযোগ থাকতো।

এদিকে, চামড়া সংরক্ষণের ব্যাপারে সরকারি কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এবং পুরো চামড়া খাত বেসরকারি খাতের অধীনে হওয়ায় সেখানে নিয়ন্ত্রণ আরোপ কঠিন হয়ে পড়ছে বলে জানান ঘোষ। ‘চামড়ার পুরো কাজটাই হয় বেসরকারি খাতে। সরকারিভাবে চামড়া কিনে রাখারও কোনো ব্যবস্থা নেই। এজন্য আমরা জোর দিয়েছি লবণ মাখানো এবং স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণ করার ওপর। সেটা এতিমখানায় হতে পারে, জেলাগুলোয় বিসিকের যদি জায়গা থাকে সেখানেও হতে পারে।

সরকার প্রতিবছর স্থানীয়ভাবে এবং জেলা পর্যায়ে চামড়ার সংরক্ষণাগার তৈরির প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও তার কোনো বাস্তবায়ন দেখা যায়নি।
সূত্র : বিবিসি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি