উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিধ্বস্ত হয়ে টাইগাররা হিংস্র রূপ নিয়ে ফিরেছে পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয় ৬ উইকেটের। বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে অধিনায়ক তামিম ইকবালের দল। উইন্ডিজকে বেধে ফেলেছে ১০৮ রানেই। এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিততে সফরকারীদের প্রয়োজন ১০৯ রান।
অবশ্য শুরুতে খুব একটা সাফল্য পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ১১তম ওভারে গিয়ে সাফল্য পায় টিম টাইগার্স। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সাজঘরে ফেরান কাইল মায়ার্সকে। সাজঘরে ফেরার আগে মায়ার্স করেন ৩৬ বলে বলে ১৭ রান।
এরপর উইন্ডিজ ১০০-এর কোটা ছুঁয়েছে ঠিকই, কিন্তু এগোতে পারেনি বেশি দূর। ৩৩ ওভারে ১০৮ রানেই উইন্ডিজকে গুড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নাসুম নেন তিনটি। এর ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিততে তামিমদের করতে হবে ১০৯ রান।
আগের ম্যাচের উইকেট শূন্য মাসুম এই ম্যাচে ফেরেন দৃশ্যপটে, ইনিংসের ১৮তম ওভারে জোড়া শিকার তার। আউট করেন ওপেনার হোপ আর অধিনায়ক নিকোলাস পুরানকে। নাসুমকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ দেন ডানহাতি হোপ। ফেরেন ৪৫ বলে ১৮ রানে। ওই ওভারের শেষ বলে পুরান রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন। এদিন রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
২৬ ওভারে ৬৯ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটিকে আরো বিপর্যয়ের মুখে ফেলেন মিরাজ। তিন ওভারের ব্যবধানে একে একে ফেরান ব্রেন্ডন কিং (১১), শেফার্ড (৩) ও আলজারি জোসেফকে (০)।
মাঝে ২ রান করে আউটে কাটা পড়েন আকিল হোসাইন। এতে ৮৬ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০০-এর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে উইন্ডিজ। তবে শেষ উইকেটে কিমো পল আর গুদাকেশ মটির ২২ রানের পার্টনারশিপে ১০৮ রানে থামে ক্যারিবীয়দের ইনিংস।
৬ রানে থাকা মটিকে মিরাজ ফেরালে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। ইনিংস সর্বোচ্চ ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন পল। এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিততে বাংলাদেশ দলের প্রয়োজন ১০৯ রান।