কক্সবাজারের পেকুয়ায় চোরাইকৃত মালামাল জব্দ করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পেকুয়া থানা পুলিশ এ সব মালামাল জব্দ করে। ১২ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুরের দিকে পেকুয়া থানা পুলিশের একটি টীম উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালীর একটি বাড়ি থেকে মালামাল উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানান, ৭ জুলাই দিবাগত গভীর রাতে বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালীতে একটি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। এস.বি,এম ইট ভাটার সামনে ওই দোকানটির অবস্থান। দোকানের মালিকের নাম কফিল উদ্দিন। ওই দিন রাতে কফিল উদ্দিন কুলিং কর্ণার ও মুদির দোকান বন্ধ করে পশু বিক্রি করতে চট্টগ্রাম শহরে যান। ওই সুবাধে চোরের দল রাতে তার দোকানে হানা দেয়। এ সময় দোকান থেকে ফ্রিজসহ ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও বিভিন্ন দ্রব্যাদি নিয়ে যায়। প্রায় ১ লক্ষ টাকারও বেশী মালামাল চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিকে ঘটনার প্রায় ৪ দিন পর চুরিকৃত মালামালের হদিস পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পেকুয়া থানার এস,আই মিন্নত আলীসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালীতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় চোরাইকৃত একটি ফ্রিজ (সিঙ্গার কোম্পানীর) জব্দ করা হয়। এ সময় বারবাকিয়া ইউপির সদস্য বেলাল উদ্দিন ও মো: আলম পুলিশের সঙ্গে ছিলেন। জনপ্রতিনিধিরাও চোরাই মালামাল উদ্ধার করতে পুলিশকে সহায়তা করেন। পশ্চিম পাহাড়িয়াখালীর আবুল হাসেমের স্ত্রী আমেনা বেগম জানান, ১০ হাজার টাকা দিয়ে ফ্রিজটি আমার ছেলে রাসেল ক্রয় করেছে। রাসেল বিদেশ থাকে। নাজেম উদ্দিনের পুত্র আজিম উদ্দিন ও রবি আলমের পুত্র ছোটনের কাছ থেকে ফ্রিজটি কিনে নেওয়া হয়। আমার ছেলে আসলে জানত না ফ্রিজটি চোরাই পণ্য। কফিল উদ্দিন জানান, একটি চোর সিন্ডিকেট আমার দোকানে হানা দেয়। ২ জনের নাম উল্লেখ করলেও এখানে রাঘব বোয়ালরা আছে। আমাকে হুমকি ও ধমকি দেয়া হচ্ছে। ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন জানান, আমরাসহ পুলিশ গিয়ে কিছু মালামাল উদ্ধার করেছি। ২ জনের নাম পাওয়া গেছে। অবশিষ্ট মালামাল দ্রæত সময়ের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। অভিভাবকদেরকে জোরালো ভাবে বলা হয়েছে। না হয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পেকুয়া থানার এস,আই মিন্নত আলী জানান, ফ্রিজসহ কিছু মালামালের সন্ধান পেয়েছি। দুই ইউপি সদস্যকে এ সবের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।