• সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
লামা ফাঁসিয়াখালীতে মসজিদের নাম দিয়ে ব্যবসায়ীর পৈতৃক সম্পত্তি দখলের পায়তারা দর্শনায় মাদক বিরোধী অভিযানে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার মারছা গাড়ীর ধাক্কায় লাইফ সাপোর্টে কলেজ ছাত্রী রাকিব জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত মহেশপুরে স্ত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভ্যানচালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা জুলি ও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা পেকুয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী, ছেলেসহ আহত-২ চকরিয়ায় শিশু হত্যার প্রধান আসামী সুমাকে গ্রেফতার করেছেন র‍্যাব-১৫ চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানা আকষ্মিক পরিদর্শন এবং আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করেন পুলিশ সুপার ৬০ বছর বয়সে ফের বিয়ে করলেন আশিষ বিদ্যার্থী

পেকুয়ায় বাড়ি ও শত বছরের ভিটা রক্ষা করতে রাত জেগে পাহারা

পেকুয়া প্রতিনিধি / ২৬৩ Time View
আপডেট : শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২

কক্সবাজারের পেকুয়ায় বসতবাড়ি ও শত বছরের পৈত্রিক ভিটা রক্ষা করতে রাত জেগে দেয়া হচ্ছে পাহারা। ২০ শতকের বসতভিটা নিয়ে চলছে চরম উত্তেজনা। এর জের ধরে বসতবাড়ির ভোগ দখলীয় পক্ষ ও জবর দখল চেষ্টাকারীদের মধ্যে দ্বন্ধ প্রকট আকার ধারণ করেছে। বসতবাড়ি জবর দখল করতে একটি পক্ষ কোর্টে এম,আর মামলা রুজু করে। তবে তথ্য বিভ্রাট ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওই মামলাটি রুজু করা হয়েছে। উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের রঙ্গিন খালের পূর্বকুল নামক স্থানে জায়গা নিয়ে দ্বন্ধের প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০ শতক জায়গা নিয়ে রঙ্গিন খালের পূর্বকুল গ্রামে মৃত সোলতান আহমদের পুত্র গোলাম মোস্তফা ও প্রতিবেশী মৃত চাঁন মিয়ার পুত্র শফি আলম গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ২০ শতকের চেয়ে বেশী আয়তনের বসতভিটাটি গোলাম মোস্তফার ভোগ দখলীয় জায়গা। বিগত শত বছর আগে থেকে ওই জায়গায় গোলাম মোস্তফার পিতা সোলতান আহমদ ও পিতামহ পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছিলেন। শেখ আবদুল আজিজ চৌধুরীর রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে গোলাম মোস্তফার দাদা ও পিতা-রায়তী হিসেবে বসবাসের অনুমতি প্রাপ্ত হন। সেই সময় থেকে সেখানে বসবাস করছে সোলতান আহমদের পরিবার। এরপর তার পুত্র গোলাম মোস্তফা জায়গাটি ভোগ দখলে রয়েছে। বিগত ৩০/৪০ বছর আগে গোলাম মোস্তফা পৈত্রিক ভিটায় ইটের তৈরী সেমিপাকা বসতবাড়ি তৈরী করে। বসতভিটায় রয়েছে ২শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ গাছালি। শত বছর বয়সী নারিকেল গাছ, তালগাছসহ আরো বয়ষ্ক গাছের সবুজের সমারোহ আছে। পুকুর পাড়ে রয়েছে আম, জাম, পেয়ারাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছের অসংখ্য সারি। এ দিকে সম্প্রতি ওই জায়গা নিয়ে চলছে টানা পোড়ন। স্থানীয়রা জানান, মৃত চাঁদ মিয়ার পুত্র শফি আলম ওই জায়গায় জমাভাগ খতিয়ান সৃজন করে। এমনকি জবর দখল কুমানসে ওই জায়গায় একটি দলিলও সম্পাদন করে। এ দিকে গোলাম মোস্তফার পিতার নামে ওই জায়গায় রেকর্ড প্রচার আছে। বিএসে মোস্তফার পিতার নামে রায়তী স্বত্ত হিসেবে রেকর্ড প্রচার আছে। অপরদিকে একই জায়গার আরএস রেকর্ডীয় মালিক শেখ আবদুল আজিজ চৌধুরী। বিএস রেকর্ডে আবদুল আজিজ চৌধুরীর পুত্র মাহামুদুল করিম চৌধুরী ও রহুল আমিন চৌধুরী গং এর নামে খতিয়ান প্রচার আছে। গোলাম মোস্তফা পৈত্রিক অংশ ছাড়াও সম্পত্তির রেকর্ডীয় মালিক রুহুল আমিন চৌধুরীর কাছ থেকে ২০ শতক জায়গাটি খরিদ করেন। যার দলিল নং ১৫৬৬/২২। অপরদিকে ওই জায়গায় ১৪৪ ধারার বলবৎ রাখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত কক্সবাজারে এম,আর মামলা রুজু করা হয়েছে। পেকুয়া থানা পুলিশ ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন। জায়গাটি স্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সহকারী কমিশন ভূমি পেকুয়ায়ও পরিদর্শনের জন্য উভয়পক্ষকে সমন দিয়ে তাগিদ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে গোলাম মোস্তফা জানান, এ জায়গায় আমার দাদা পরবর্তীতে আমার পিতা ও বর্তমানে আমি ভোগ করছি। এখানে আমার পাকা বসতবাড়ি রয়েছে। চাঁদ মিয়ার বাড়ি পটুয়াখালীতে। এখানে ঘর জামাই এসেছিল। খোঁজ নিয়ে দেখেন, এ জায়গায় কারা বসবাস করছে। গোলাম মোস্তফার স্ত্রী শাকেরা বেগম বলেন, ভয়ের মধ্যে আছি। রাত হলে আমরা নির্ঘুমে থাকি। শফি আলম সন্ত্রাসী নিয়ে এসে আমাদেরকে বের করে দেবে এ ভয়ে। মেয়ে হোসনে আরা জানান, অনেক নারিকেল গাছ আমার দাদীর রোপিত। আবুল কালামের স্ত্রী রোকেয়া জানান, এ ভিটায় এক সময় আমার শাশুড় থাকতো। এখন আছে বড় ভাই। গোলাম মোস্তফার মেয়ে জোসনা আক্তার জানান, আমরা এ ভিটার জন্যও প্রয়োজনে মরতেও প্রস্তুত আছি। পুত্রবধূ জোহরা বলেন, শফি আলম মিথ্যা মামলা করেছে। জায়গায় আমরা আছি। পুত্রবধূ ইয়াসমিন বলেন, নিপীড়নের ভয়ে আছি। স্থানীয় কফিল উদ্দিন বলেন,এ জায়গাটি গোলাম মোস্থফার বসবাসের জায়গা। জসিম উদ্দিন জানান, শফি আলম আরেকজনের বসতভিটায় কিভাবে এম,আর মামলা করে। মোশারফ হোসেন জানান, এটিতো বসবাসের ভিটা। জায়গার রেকর্ডীয় মালিক ও বিক্রেতা রুহুল আমিন চৌধুরী বলেন, এ জায়গায় গোলাম মোস্তফার পিতাকে আমরা রায়তী হিসেবে অনুমতি দিয়েছিলাম। এরপর থেকে তারাতো সেখানে আছে। আমি উক্ত জায়গা তাকে বিক্রিও করেছি। ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী জানান, বিষয়টি মোস্তফা আমাকেও জানিয়েছিলেন। এটি তাদের বসতভিটা। আমার দাদার রায়তী হিসেবে তারা অনুমতি প্রাপ্ত হয়েছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি