কক্সবাজারের পেকুয়ায় হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, নারীসহ একই পরিবারের ৪ জনকে জখম করা হয়েছে। জখমীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত ছাত্রকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অপর আহতদেরকেও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী মিঠাবেপারীপাড়ায় হামলার এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ওই এলাকার মোহাম্মদ হোছাইনের পুত্র মোহাম্মদ ফরহাদ (২৫), মৃত জাফর আহমদের পুত্র মোহাম্মদ হোছাইন (৫৩), মোহাম্মদ হোছাইনের বিবাহিত মেয়ে হালিমা বেগম (২৭), মেয়ের জামাই ওসমান (৩২)। এদের মধ্যে মোহাম্মদ হোছাইনের পুত্র চট্টগ্রাম ফোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এমবিএ অধ্যয়নরত ছাত্র মোহাম্মদ ফরহাদের জখম গুরুতর বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে একদল দুবৃর্ত্তরা গোঁয়াখালী মিঠাবেপারীপাড়ায় মোহাম্মদ হোছাইনের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় উত্তেজিত লোকজন ওই বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব চালায়। মোহাম্মদ হোছাইনের পুত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো: ফরহাদ এর কারণ জানতে চান। এ সময় তাকে হাতুড়ি দিয়ে মুখমন্ডলসহ সর্বশরীরে পিটিয়ে জখম করে। এক পর্যায়ে দুবৃর্ত্তরা তাকে গলাছেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা চেষ্টা চালায়। এ সময় ফরহাদকে উদ্ধার করতে পিতা মোহাম্মদ হোছাইন বাড়িতে বেড়াতে আসা বোন হালিমা বেগম ও ভগ্নিপতি ওসমান দ্রæত ওই স্থানে যান। হামলাকারীরা এদেরকেও এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি, লাথিসহ পিটিয়ে আহত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোহাম্মদ ফরহাদের পিতা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক সিকিউরিটিতে কর্মরত থাকা কর্মচারী মোহাম্মদ হোছাইন বলেন, আমি একজন এ্যাজমা রোগী। তারা আমাকে জিম্মী করার চেষ্টা করছে। ঘটনার দিন রাতে একই এলাকার নুরুল আলমের পুত্র আবদুল আজিজ প্রকাশ সাগর, তার ভাই আনিছ ফারুক কাজল ও ইউনুছসহ কয়েকজন মিলে আমার বাড়িতে গিয়ে আমার ছেলে, আমি, আমার মেয়ে ও মেয়ের জামাই ওসমানকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। হামলাকারী আবদুল আজিজ সাগর একজন দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার। চট্টগ্রাম শহরের প্রবাহ কোচিং সেন্টারে থাকে। শিবির পরিচালিত ওই সেন্টারের থাকা অবস্থায় অনেকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী মিছিল, পিকেটিংয়ে থাকা অবস্থায় রাস্তা থেকে তাকে আইন শৃংখলা বাহিনী একাধিকবার আটক করে। এখন গ্রামে এসে তারা আমি ও আমার পরিবারকে অত্যাচার করছে। প্রত্যক্ষদর্শী আক্তার হোসেন, হেফাজ উদ্দিন, নেজাম উদ্দিনসহ অনেকে জানান, আমরা আহতদের উদ্ধার করেছি। ফরহাদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পেকুয়া থানার ওসি ফরহাদ আলী জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।