‘চকরিয়ায় দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিল পুুলিশ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ শফি প্রকাশ মোহাম্মদ সাচি’র পুত্র জালাল আহমদ।
শনিবার ১৬জুলাই ২০২২ ইং তারিখে যায়যায়দিন অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, চিরিংগা মৌজায় ১৯৯২সালে দুই দলিলে মোট ১০শতক জমি ক্রয় করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে থেকে ২০০৭ সালে পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে পাকা দালান নির্মাণ করে দোকান ঘর হিসেবে ভাড়া প্রদান করি। উক্ত দোকান ঘরটি প্রথমে রসিক কুমার শীলের পুত্র সাধন কুমার শীল ভাড়া নিয়ে ওষুধের দোকান পরিচালনা করে। পরে নুরুল কবিরের পুত্র সুহাদ মোহাম্মদ আবু সাঈদ আমার কাছ থেকে দোকান ঘরটি ভাড়া নিয়ে একটানা ১৮বছর ডায়গনস্টিক ল্যাব হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে মরহুম আহমদ কবিরের ছেলে হুমায়ুন কবির ভাড়া নিয়ে ৬ বছর পপুলার ল্যাব হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করেন। তার সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কাহারিয়াঘোনা এলাকার নুর মোহাম্মদের পুত্র রেজাউল করিম গং কে ভাড়া দিয়ে দোকান ঘর বুঝিয়ে দেওয়ার পর চিরিংগা মাষ্টার পাড়া এলাকার বুজরুচ মিয়ার ছেলে সাহাব উদ্দিন গং তাদের জমি দাবি করে আমাদের নামে হয়রানিমূলক এডিএম কোর্টে এম আর মামলা দায়ের করে ১৪৪ ধারা জারির আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আবেদন খারিজ করে দেন। এতেও তারা ক্ষান্ত না হয়ে ২৫/৫/২০২১ ইং তারিখে আমার ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আমাকে গুরতর আহত করে। উক্ত ঘটনায় আমি মামলা দায়ের করিলে সাহাব উদ্দিন, জালাল উদ্দিন ও সাদ্দাম হোসেন নামক ৩ ভাইকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। সম্প্রতি তারা জামিনে মুক্ত হয়ে এসে আবার গন্ডগোল পাকানো শুরু করে। সর্বশেষ শনিবার ১৬জুলাই,২০২২ ইং তারিখ সকালে আমার দোকান জবরদখলের চেষ্টায় হামলা চালালে আমি পুলিশের শরণাপন্ন হই। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমাকে দোকান ঘরটি আপাততঃ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিলে আমি দোকান তালা মেরে প্রাণে বাঁচি। আমি স্থানীয় জনসাধারণ, ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের প্রতি ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি যাতে নির্বিঘেœ আমার ভাড়াটিয়া ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে।
নিবেদক-
জালাল আহমদ ৮নং ওয়ার্ড, চকরিয়া পৌরসভা, চকরিয়া, কক্সবাজার।