কক্সবাজারের পেকুয়ায় মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরীকে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩ টার দিকে মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলন কক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউপির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক ছিলেন। এ সময় লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মগনামা ইউপির ৭ নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত সদস্য ও ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান বদিউল আলম। এ সময় লিখিত বক্তব্যে পেকুয়ার কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যান বদিউল আলম বলেন, গত ১৬ জুলাই/২২ ইং (শনিবার) বিকেল ৪ টার দিকে মগনামা পরিষদের নীচে খোলা মাঠে মহিলাদল অনধিকার প্রবেশ করে। অনুমতি ছাড়া একটি সমাবেশের আয়োজন করে। ওই সমাবেশ থেকে বিএনপি নেতা ইকবাল হোসাইন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তি এবং অশালীন বক্তব্য প্রদান করে। আমরা তার এহেন কান্ডজ্ঞানহীন আচরণ ও বক্তব্যের তীব্র নিন্দাসহ প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি মগনামা ইউপির জনপ্রতিনিধিরা। জনগনের পক্ষ থেকে এ ধরনের আচরণের জন্য আমরা তাকে ধিক্কার জানাই। সম্প্রতি ওই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে পেকুয়া থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। উক্ত মামলায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মগনামা ইউপি থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ চৌধুরীকে আসামী করা হয়েছে। আমরা ওই মামলায় ইউনুছ চৌধুরীকে জড়ানোর জন্য হতভম্ব হয়েছি। জনগনের পক্ষ থেকে এ ধরনের হয়রানিমুলক মামলার জন্য আমরা তীব্র নিন্দাসহ এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে ওই মিথ্যা মামলা থেকে মগনামার জনগনের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরীকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য প্রশাসনসহ রাস্ট্রপক্ষের নিকট জোরালো আবেদন ও সুপারিশ করছি। ইউনুছ চৌধুরী মগনামার আপামর জনগনের নয়নমণি। তিনি মাটি ও মানুষের প্রাণের নেতা। সে দিন আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব এলাকার বাইরে ছিলেন। কক্সবাজারে গিয়েছিলেন বিশেষ কাজে। সেই সময় অনাকাংখিতভাবে সেখানে অনাধিকার প্রবেশ পূর্বক বিএনপির মহিলাদলের সমাবেশটি করেছে। এ জন্য আমরা কেউ জ্ঞাত ছিলাম না। বিএনপি নেতার অশালীন বক্তব্য নিয়ে আমরা সবাই হতাশ হয়েছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্রে আমরা প্রতিবাদ করেছি। এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিকে শাস্তির প্রার্থনা করেছি। তবে এ সবের মাঝেও আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। ইউনুছ চৌধুরী একজন মুজিবাদর্শের সৈনিক। আওয়ামীলীগের দু:সময়ে তিনি এ অঞ্চলে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে রাজনীতিকে মাঠে ছড়িয়ে দিতে প্রাণপণ কাজ করেছেন। যুবলীগ পরবর্তীতে আ’লীগের রাজনীতিকে তিনি বুকে ধারণ করেন। এক সময় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। পেকুয়ায় উপজেলা যুবলীগেরও যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। এরপর সাংগঠনিক থানা আ’লীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। জোট সরকারের সময় তিনিও অনেক মামলা ও হামলার শিকার ছিলেন। অথচ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করেছে বিএনপি নেতা। সেখানে মামলা দেয়া হয়েছে আ’লীগের দু:সময়ের মাঠের নেতা আমাদের চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরীকে। আমরা ওই মামলা প্রত্যাহারসহ এর সুষ্টু তদন্ত চাই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মগনামা ইউপির নারী সদস্য আনজুমান আরা বেগম, মনোয়ারা বেগম, কহিনুর আক্তার, সাধারণ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের মধ্যে ছরওয়ার কামাল, আমির উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, কাসেম উদ্দিন, মহি উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহ আলম প্রমুখ।