কক্সবাজারের পেকুয়ায় হামলায় টইটং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এনামুল হক চৌধুরী (৫৫) আহত হয়েছে। ছাত্রদলের সাবেক নেতাসহ ৩/৪ জনের দুবৃর্ত্তরা তাকে প্রাণনাশ চেষ্টা চালান। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা এগিয়ে এসে যুবলীগের ইউনিয়ন সভাপতিকে উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের জালিয়ারচাং নাপিতখালী পারাপার সেতুর নিকটে ইক্বরা স্কুল সংলগ্ন ষ্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এনামুল হক চৌধুরী টইটং ইউনিয়নের নাপিতখালী পেন্ডারপাড়ার মৃত মাওলানা ছাবের আহমদের পুত্র। তিনি ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠন যুবলীগ টইটং ইউনিয়ন শাখার সভাপতি পদে আসীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে টইটং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এনামুল হক চৌধুরী জানান, ওই দিন দুপুর ১২ টার দিকে আমার উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমি নাপিতখালী নিজ বাড়ি থেকে পেকুয়ার দিকে যাচ্ছিলাম। অটোরিক্সা যোগে যাওয়ার পথে আমাকে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। নাপিতখালীর মৃত আবদু ছবুরের পুত্র ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডার জয়নাল আবেদীন কাজল তার ভাই তোফায়েল আহমদসহ ৩/৪ জনের দুবৃর্ত্তরা আমাকে প্রাণনাশ চেষ্টা চালায়। পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ওই দুবৃর্ত্তরা আমাকে পথরোধ করতে তারা চেষ্টা করে। আমি দ্রæত সটকে পড়ি। তারা আমাকে লক্ষ্য করে ইট,পাটকেল নিক্ষেপ করে। এমনকি হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড, ধারালো ছুরা নিয়ে আমাকে ধাওয়া করে। হাজিবাজার এসে আমি রক্ষা পেয়েছি। তারা আমাকে হাতে বারি মারে। প্রত্যক্ষদর্শী রিক্সা চালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, আমি রিক্সার গতি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। না হয় অবস্থা খারাপ হয়ে যেত। হিরাবুনিয়ার মো: জয়নাল প্রকাশ কালু জানান, এনাম ভাইকে আমরা উদ্ধার করেছি। এনামুল হকের স্ত্রী খাইরুন্নেছা জানান, জয়নাল আবেদীন কাজল গং আমার স্বামীকে অনেক আগে থেকে টার্গেট করেছে। এদের ভয়ে আমার স্বামী চলাফেরা করতে ভয় পান। ছাত্রদলের ক্যাডার হয়ে বর্তমান সময়ে আমার স্বামী যুবলীগের সভাপতি এরপরও এদের অত্যাচার জুলুমের মধ্যে আছি আমরা। ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারন সম্পাদক বাচ্চু মিয়া বলেন, এনাম ভাই কেন আমরা সবাইতো এখন নিপীড়নের মধ্যে আছি। এদেরতো টাকা আছে। উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো: বারেক জানান, বিষয়টি শুনে আমি কষ্ট পেয়েছি। বৈঠক ডাকবো। এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলাকারীকে দ্রæত আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।