• সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
চকরিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা,টেন্ডারে অনিয়ম,দায়িত্ব অবহেলায় রোগীর মৃত্যুসহ ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ তুলে তার বদলির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন চকরিয়া হস্তশিল্প নারী উদ্যোক্তারা আঞ্চলিক গন্ডি পেরিয়ে একদিন সারাদেশে সমাদৃত হবে পেকুয়ায় খাস জমি থেকে বড় ভাইকে উচ্ছেদ পাঁয়তারার অভিযোগ পেকুয়ায় ভাবিকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার ঠাকুরগাঁও-এ রাম মন্দিরে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত বনভূমিতে পাঁকা ঘর হলো পাঁচটিঃ মামলা হল একটি; বাকী চারটি অদৃশ্য ফ্রিতে ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে যা জানালেন বেঁচে যাওয়া ঝিনাইদহের যাত্রী আক্তারুজ্জামান পেকুয়ায় আগুন দিয়ে পোড়াল ফার্মেসী শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার শঙ্কা আটলান্টিক পেরিয়ে আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না : প্রধানমন্ত্রী

মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ : রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা চলবে

বিবিসি একাত্তর ডেস্ক / ১২১ Time View
আপডেট : শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০২২

মিয়ানমার বাহিনীর পুড়িয়ে দেয়া একটি রোহিঙ্গা জনবসতি। – ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ে করা মামলা নিয়ে তোলা মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে জাতিসঙ্ঘের সর্বোচ্চ আদালত।

হেগভিত্তিক এ আদালতে শুক্রবারের এ রায়ের ফলে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসে (আইসিজে) রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা মামলা চলতে আর বাধা থাকল না।

মিয়ানমারের দাবি ছিল, ২০১৯ সালে আফ্রিকার ক্ষুদ্র দেশ গাম্বিয়ার করা মামলাটি অগ্রহণযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এ ব্যাপারে এখতিয়ার নেই।

রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতাকে অধিকার সংগঠন ও জাতিসঙ্ঘের এক তদন্ত প্রতিবেদনে ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের সমতুল্য বলা হয়েছে।

মার্চে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিংকেন বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংস দমন-পীড়ন গণহত্যার সমান।

রোহিঙ্গাদের বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষোভের মধ্যে মিয়ানমার গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করছে বলে বিশ্ব আদালতে মামলা করে গাম্বিয়া। গাম্বিয়া ও মিয়ানমার উভয়ই কনভেনশনের পক্ষ এবং সব স্বাক্ষরকারীর এটি কার্যকর নিশ্চিত করার দায়িত্ব রয়েছে বলে যুক্তি দেখায় দেশটি।

মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীরা ফেব্রুয়ারিতে যুক্তি দেন, বিশ্ব আদালত কেবল রাষ্ট্রের মধ্যে মামলার শুনানি করে এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার পক্ষ থেকে গাম্বিয়া রোহিঙ্গাদের অভিযোগ আনায় মামলাটি বাতিল করা উচিত।

তারা আরো দাবি করে, গাম্বিয়া মামলাটি আদালতে আনতে পারে না কারণ এটি মিয়ানমারের ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত না এবং মামলা দায়েরের আগে দুই দেশের মধ্যে আইনি বিরোধ ছিল না।

গাম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিচারমন্ত্রী দাউদা জালো ফেব্রুয়ারিতে বলেন, মামলাটি অগ্রসর হওয়া উচিত এবং এটি ওআইসি নয়, তার দেশই এনেছে।

জ্যালো আদালতকে বলেন, ‘আমরা কারো প্রক্সি নই।’

এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডস ও কানাডা গাম্বিয়াকে সমর্থন করছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার পর ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে একটি ক্লিয়ারেন্স অভিযান শুরু করে। এতে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, হত্যা ও হাজার হাজার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে।

তবে গত বছর মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে আইসিজের মামলাটি জটিল হয়ে পড়ে। ফেব্রুয়ারির শুনানিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির সামরিক বাহিনীর গঠিত সরকারকে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করার অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়।

সূত্র : এপি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি