কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের তরছপাড়া স্টেশনে স্থাপন করা হয়েছে বিট পুলিশের কার্যালয়। এই কার্যালয়ের অধীনে নিয়ন্ত্রণ করা হবে আশপাশের ২ ও ৩ ওয়ার্ডের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও। আজ সোমবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যালয় উদ্বোধনের পর থেকে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে এক ও দুই নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন বসতবাড়িতে কয়েকটি আলোচিত দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছিল।
চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বিট পুলিশিং কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী। কার্যালয় উদ্বোধন করেন পুলিশের চকরিয়া ও পেকুয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন থানার অপারেশন অফিসার রাজীব কুমার সরকার, বিট পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই) মো. কামরুল ইসলাম, সহ বিট কর্মকর্তা (এএসআই) উত্তম কুমার ভৌমিক, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য এবং ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এইচ এম তাজউদ্দিন, পৌরসভার নারী কাউন্সিলর রাশেদা বেগম, কাউন্সিলর যথাক্রমে নুরুসসফি, সাইফুল ইসলাম, ইফতেখারুল ইসলাম হানিফ, চকরিয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী মাসউদ মোর্শেদ, পৌরসভা কমিউনিটি পুলিশিং কর্মকর্তা রাজীফুল মোস্তফা চৌধুরী রাজিবসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি কামাল উদ্দিন বিট পুলিশ কার্যালয়ের জন্য একটি কক্ষ বরাদ্দ দেওয়ায় অতিথিরা তাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথি চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘এই এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় এবং মাদকের কারবার রোধে বিট পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমি এই বিট কার্যালয়ের যাবতীয় আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাবো। আমি এলাকার অভিভাবকদের অনুরোধ করছি- আপনার সন্তান কোথায় যায়, কার সাথে মিশে, অনেক রাত করে কেনো বাড়ি ফেরে এসবের বিস্তারিত খোঁজ রাখেন। এতেই আপনার সম্ভাবনাময়ী সন্তান আর খারাপ পথে পা বাড়াবে না।’
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম বলেন, ‘এলাকায় অপরাধী, মাদক কারবারি বা সেবী কারা আপনারা জানেন। তাদের তালিকা করে পুলিশকে দিন। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে এসব অপরাধীদের নির্মূল করবো। ###