কক্সবাজারের পেকুয়ায় হামলায় এক গৃহবধূ আহত হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রবিবার (২৪ জুলাই) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মরিচ্যাদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধূর নাম হাদিছা বেগম (৪০)। তিনি ওই এলাকার আবু তাহেরের স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বসতভিটার ১ শতক জায়গা নিয়ে আবু তাহের ও বজল করিমের পুত্র আবু ছিদ্দিক গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর সুত্র ধরে রবিবার সকাল ১০ টার দিকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আবু ছিদ্দিক গং বসতভিটার ১ শতক জায়গা দখলে নিতে সেখানে পৌছেন। এ সময় স্থানীয়রা এসে উত্তেজনা প্রশমিত করে। তবে একই দিন রাত ১১ টার দিকে আবু ছিদ্দিক, তার ভাই কামাল হোসেন, মানিকের পুত্র জোনাইদ, আবু তৈয়ব, মানিকসহ ৬/৭ জনের উত্তেজিত লোকজন আবু তাহেরের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় তারা আবু তাহেরের স্ত্রী হাদিছা বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। প্রত্যক্ষদর্শী নাছিমা আক্তার জানান, আবু ছিদ্দিকসহ হামলাকারীরা হাদিছাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এরপর তাকে টানা হ্যাচড়ার এক পর্যায়ে তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। চুলের মুঠি ধরে টেনে ঘর থেকে ওই নারীকে বের করে দেয়া হয়। হাদিছার স্বামী আবু তাহের জানান, আমি বাবুচির কাজ করি। থাকি বানিয়ারচর মাদ্রাসায়। বাড়িতে ছিলাম না। এসে তারা আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করে। গলাচেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা চেষ্টা চালায়। আমার ঘরটি এখন তারা দখল করে ফেলেছে। হাদিছার দুলাভাই বদিউল আলম জানান, আমরা হাদিছাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। পরিষদে বিচার আছে। কিন্তু তারা এ সব মানে না। হাদিছা বেগম জানান, আমাকে কাপড় ধরে টানা হ্যাচড়া করেছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। পেকুয়া থানার ওসি ফরহাদ আলী জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে।