কক্সবাজারের পেকুয়ায় ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছে ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রী। এর জের ধরে ইভটিজার ও স্থানীয়দের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। বখাটেদের তাড়াতে স্থানীয়রা ওই স্থানে ছুটে যান। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ২৭ জুলাই (বুধবার) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের উত্তরজুম সাপেরঘারার দুর্গম রাজাখোলা নামক পাহাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ্ইভটিজিংয়ের শিকার ছাত্রীর নাম কানিছ ফাতেমা (১৪)। মেয়েটি জারুলবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর অধ্যয়নরত ছাত্রী । তার বাবার নাম মুহাম্মদ সাদেক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন সকালে কানিছ ফাতেমা বিশেষ ক্লাস শেষ করে রাজার খোলায় নানার বাড়ির দিকে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ওই ছাত্রীকে ইভটিজিং করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সাপেরঘারার জাফর আহমদের পুত্র পানচাষী মুহাম্মদ জোবাইর জানান, কানিছ ফাতেমার বাড়ি টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটায়। সে ধনিয়াকাটার মুহাম্মদ সাদেকের মেয়ে। গত কয়েক বছর আগে থেকে তারা সাপেরঘারায় নানার বাড়িতে থাকেন। মা রেহেনা বেগম চট্টগ্রাম শহরে একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করেন। স্বামী-স্ত্রী দম্পতির বনিবনা চলছিল। এর সুত্র ধরে সাদেকের স্ত্রী রেহেনা মেয়ে কানিছ ফাতেমাকে নিয়ে সাপেরঘারায় বাপের বাড়িতে থাকে। ওই দিন সকালে কানিছ ফাতেমা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তাকে উত্যক্ত করা হয়েছে। একই এলাকার নুরুচ্ছফার পুত্র মো: আরফাতসহ কয়েকজন মিলে মেয়েটিকে প্রায় সময় স্কুলে আসা ও যাওয়ার পথে ইভটিজিং করছিলেন। ওই দিনও মেয়েটিকে ইভটিজিং করা হয়েছে। সে কান্নাকাটি করছিল। এমনকি চরম অপমান ও অসম্মানবোধ তৈরী হওয়ায় মেয়েটি এক প্রকার প্রতিবাদ করে। এর সুত্র ধরে আমরা প্রত্যক্ষদর্শীরা সেখানে গিয়ে ইভটিজারদের বকাঝকা করি। তবে তারা কয়েকজন মিলে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হন। এ সময় আরো অধিক লোকজন জড়ো হয়ে এদেরকে ধাওয়া করা হয়। আবু ছৈয়দের স্ত্রী শাহানা বেগম জানান, কানিছ ফাতেমা মা গার্মেন্টসে চাকুরী করে। বাবার সাথে মায়ের দুরত্ব তৈরী হয়েছে। থাকে নানার বাড়িতে। এ অসহায় মেয়েকে তারা পথে ঘাটে বার বার বিরক্ত করছে। পারভেজের স্ত্রী মুন্নি জানান, অনেক আগে থেকে মেয়েটিকে যৌন হয়রানিমুলক আচরণ করা হচ্ছে। স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। কিছুদিন স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সম্ভ্রমহানির আশংকায়। নানী গোলবাহার জানান, আমার নাতীকে স্কুলে না যাওয়ার জন্য এ সব করা হচ্ছে। সাবেক ইউপি সদস্য আহমদ ছবি জানান, আসলে সমাজে অসঙ্গতিগুলি মাথা ছাড়া দিয়েছে। তারা বিষয়টি আমাকেও অবহিত করেছেন। জারুলবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম জানান, আমার প্রতিষ্টানের ওই ছাত্রীকে ইভটিজিং করা হয়েছে। এমন সংবাদ আমাকেও জানানো হয়েছে। তারা ইউএনও স্যারের ওখানে গিয়েছেন সেটি জেনেছি।