• সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
চকরিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা,টেন্ডারে অনিয়ম,দায়িত্ব অবহেলায় রোগীর মৃত্যুসহ ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ তুলে তার বদলির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন চকরিয়া হস্তশিল্প নারী উদ্যোক্তারা আঞ্চলিক গন্ডি পেরিয়ে একদিন সারাদেশে সমাদৃত হবে পেকুয়ায় খাস জমি থেকে বড় ভাইকে উচ্ছেদ পাঁয়তারার অভিযোগ পেকুয়ায় ভাবিকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার ঠাকুরগাঁও-এ রাম মন্দিরে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত বনভূমিতে পাঁকা ঘর হলো পাঁচটিঃ মামলা হল একটি; বাকী চারটি অদৃশ্য ফ্রিতে ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে যা জানালেন বেঁচে যাওয়া ঝিনাইদহের যাত্রী আক্তারুজ্জামান পেকুয়ায় আগুন দিয়ে পোড়াল ফার্মেসী শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার শঙ্কা আটলান্টিক পেরিয়ে আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না : প্রধানমন্ত্রী

জিম্বাবুয়ের কাছে অল্পের জন্য হেরেছে টাইগাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক / ১৪৮ Time View
আপডেট : শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২

যেমনটা ভালো খেলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, তিনি নিজে সেটা করে দেখালেও পারলেন না তার দলের অন্য সদস্যরা। তাই তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে অল্পের জন্য হেরেছে টাইগাররা।

শনিবার হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশী বোলারদের এলোমেলো বোলিং এবং ফিল্ডারদের মিসফিল্ডিংয়ে স্বাগতিকরা সংগ্রহ করে ৩ উইকেটে ২০৫ রান। জবাবে ছয় উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ করতে পারে ১৮৮ রান। এতে ১৭ রানে পরাজয় সফরকারীদের। ফলে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারকে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ দল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া এই তরুণ পয়েন্টে ক্যাচ দেন। ৮ বলে ৪ রান করেন তিনি। সেই ধাক্কা কাটিয়ে লিটন দাস আর এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৬০ রান তোলে সফরকারীরা। তবে এই দুইজন তালগোল পাকিয়ে বসেন ইনিংসের সপ্তম ওভারে।

উইলিয়ামসের বলে শর্ট ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ দেন লিটন। কিন্তু উদযাপন করতে গিয়ে ফেলে দেন এনগ্রাভা। লিটন না বুঝে হাঁটা দেন ড্রেসিংরুমের দিকে। এদিকে নন স্ট্রাইক প্রান্তে উইলিয়ামসকে বল পাঠিয়ে দেন এনগ্রাভা। সাথে সাথে উইকেট ভেঙে দেন উইলিয়ামস। নানা নাটকীয়তার পর আউট দেন টিভি আম্পায়ার। নিজের ভুলে রানআউটের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। ৬ চারে ১৯ বলে ৩২ রান করে ফেরেন তিনি।

টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা বিজয়ই যেন এদিন দলকে ডুবিয়ে দিলেন! ২৭ বল খেলে ২৬ রান করে আউট হন তিনি। তার ওয়ানডে ঘারানার ব্যাটিংয়ে আরো চাপে পড়ে দল। পাঁচে নামা আফিফ হোসেন দ্রুত রান তুলতে গিতে ফেরেন ৮ বলে ১০ রানে। তবে একপ্রান্ত আগলে খেলেন তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত, সোহানের সাথে ২১ বলে ৪০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে খেলায় রাখেন তিনি। ইনিংসের ১৬তম ওভারে থামে শান্তর ব্যাট। ৩ চার, ১ ছয়ে ২৫ বলে করেন ৩৭ রান।

১৬ ওভারে ১৪৬ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের তখন জয়ের জন্য ২৪ বলে প্রয়োজন ৬০ রান। সে মুহূর্তে দাঁড়িয়ে নিজ ব্যাটে ঝড় তুলে খানিক আশার সঞ্চার জোগান সোহান। তবে মোসাদ্দেক হোসেন ১০ বলে ১৩ রান করে আউট হলে কাজে আসেনি নতুন অধিনায়কের ২৬ বলে অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংসটি। ১টি চার ও ৪টি ছয়ে সাজানোর সোহানের এই ইনিংস পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে শুধু।

নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৮৮ রানে। এতে ১৭ রানের জয়ে সিরিজের এগিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে। আরো একটি নতুন চ্যালেঞ্জের মিশনে নিজেদের ব্র‍্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে নেমে আরো একটি পরাজয়ের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ দল।

এর আগে অধিনায়কত্বের অভিষেকে টসে হেরে যান সোহান। ফিল্ডিং পায় বাংলাদেশ। বোলিংয়ে নেমে টাইগার অধিনায়ক সোহান যেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। প্রথম পাঁচ ওভারে পাঁচজন বোলার দিয়ে বোলিং করান সোহান। যার মধ্যে একমাত্র মুস্তাফিজই সফল ছিলেন।

নিজের প্রথম ওভারে এসে জিম্বাবুইয়ান ওপেনার রেগিস চাকাভাকে ৮ রানে নাজমুল শান্তর ক্যাচে পরিণত করে ফেরান মুস্তাফিজ। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ২৮ রান যোগ করেন ক্রেইগ আরভিন ও ওয়েসলি মাধবেরে।

পাওয়ারপ্লের পর প্রথম বলে আরভিনকে ২১ রানে বোল্ড করে ফেরান মোসাদ্দেক। উইকেট পাওয়া বলগুলো ছাড়া এদিন বোলিংয়ে যেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে থাকেন বাংলাদেশের বোলাররা। লাইন-লেন্থ সবকিছু গুলিয়ে জগাখিচুড়ি পাকাতে থাকেন তারা।

জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের রানের ফোয়ারা ছুটানোর জন্য তাদের চাহিদামতোই বোলিং করতে থাকেন তাসকিন, শরীফুল, নাসুম এমনকি মুস্তাফিজও। টাইগার বোলারদের এলোমেলো বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও বেশ দুর্বলতা দেখা যায়। এক চান্সে বল ধরতেই যেন তালগোল পাকিয়ে ফেলছিলেন ফিল্ডাররা।

টাইগার বোলার-ফিল্ডারদের এমন সহায়তা পেয়ে মারমুখী হয়ে খেলতে থাকেন জিম্বাবুইয়ানরা। চারে নেমে ১৯ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৩ রান করেন উইলিয়ামস। মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।

তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সিকান্দার রাজার সাথে ৯১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন মাধবেরে। যেখানে রাজা ছিলেন বেশি আক্রমণাত্মক। ২৩ বলে ফিফটি তুলে শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

তিনে নামা মাধবেরে ৪৬ বলে খেলেন ৯ চারে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। ম্যাচে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে ইকোনমিকাল বোলার ছিলেন আফিফ হোসেন। তবে ১ ওভারে ৬ রান দেয়ার পর আর বোলিংই পাননি তিনি।

আরেজি ডানহাতি স্পিনার ৩ ওভারে ২১ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট পেলেও বোলিং কৌঠা পূরণের সুযোগ পাননি তিনি। তিন পেসার এদিন দেদারসে রান বিলিয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে সফল এছাড়া মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

তাসকিন ৪ ওভারে ৪২ এবং শরিফুল ৪ ওভারে ৪৫ রান দিলেও কোনও উইকেট পাননি তারা। উইকেটশূন্য থাকা নাসুমও ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩৮ রান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি