কক্সবাজারের পেকুয়ায় কীটনাশকের বোতল নিয়ে স্বামীর কাছে গেলেন স্ত্রী। এতে করে ওই ঘটনায় তুমুল হট্টগোল হয়েছে।
শনিবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম পাহাড়িয়াখালী এলাকায় এ কান্ড ঘটে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ওই স্থানে পৌছেন। স্থানীয়রা জানান, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র মোর্শেদ আলম ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ির মওলারপাড়ার শামশুল আলমের মেয়ে নাহিদা আক্তারের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
দীর্ঘদিন মন দেয়া নেয়ার এক পর্যায়ে ২০২১ সালের ২০ মে প্রেমিক জুটির বিয়ে হয়েছে। কনে ও বরের পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয়। মোর্শেদ আলম পেশায় সিএনজি চালক। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী নাহিদা বাপের বাড়িতে ছিল। সম্প্রতি নাহিদার স্বামী মোর্শেদ ১ম বিবাহ গোপন করে দ্বিতীয় বিবাহ পিঁড়িতে বসার প্রচেষ্টা চালান। এ খবর তার স্ত্রী জানতে পারে।
৩০ জুলাই শনিবার বিকেলে নাহিদা আক্তার বারবাকিয়ায় স্বামীর বাড়িতে আসেন। তবে আসার সময় ওই নারী সঙ্গে একটি কীটনাশকের বোতলও নিয়ে আসেন। স্বামীর অধিকারের জন্য শাশুড় বাড়িতে ডুকে পড়েন। তবে এ সময় পুত্রবধূকে কোন অবস্থায় বাড়িতে ডুকতে দিচ্ছিলেন না। এ নিয়ে নাহিদা ও শাশুড় বাড়ির লোকজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। এক পর্যায়ে নাহিদা নামক মেয়েটি বিষপানে আত্মহত্যা করার চেষ্টা চালায়। স্থানীয়রা দ্রæত এসে ওই নারীর কাছ থেকে বিষের বোতল নিয়ে ফেলে।
বারবাকিয়া ইউপির গ্রাম পুলিশ হারুনুর রশিদ জানান, মেয়েটি স্বামীর কাছে এসে হ্যানস্থা হয়েছে। তাকে মারধর করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সেলিনা আক্তার জানান, আমিও একজন নারী। ছেলে বিয়ে করছে বলে মেয়েটি শাশুড় বাড়িতে এসেছে। এটি তার যৌক্তিক অধিকার। মেয়েটিকে রাস্তার মধ্যে মারধর করা হয়েছে।
নাহিদা আক্তার জানান, ১ বছর ৫ মাস আগে বিয়ে হয়েছে। কিন্তু আমাকে বাপের বাড়িতে থাকতে হয়েছে। আমার সাথে প্রতারণা করছে। আরেক মেয়ের সাথে বিবাহের খবর পেয়েছি। যৌতুক চাওয়া হয়েছে। নাহিদার ভগ্নিপতি ফোরকান জানান, আমার বাড়ি কাচারীমোড়ায়। আমার স্ত্রীর বোন নাহিদা। মোর্শেদ নাহিদাকে স্ত্রীর মর্যাদা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখছে। এ অধিকারের জন্য তো এখানে আসা।
বারবাকিয়া ইউপির ১ নং ওয়ার্ড সদস্য মাষ্টার ইউনুছ জানান, এ বিয়েতে আমি কাবিন নামায় স্বাক্ষী ছিলাম। বর মোর্শেদের আপন মামা সালাহ উদ্দিনও বরপক্ষের স্বাক্ষী। আমরা নীতিগতভাবে মেয়েটির সংসার ও স্বামীর অধিকারের পক্ষে রয়েছি। মোর্শেদের মাকে বলেছি নাহিদাকে ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য।