কক্সবাজারের পেকুয়ায় মো: তানজিদ (১৭) চট্টগ্রাম শহর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। তানজিদ উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের নুইন্যারপাড়ার মো: মানিকের পুত্র। মগনামা শাহ রশিদিয়া আলিম মাদ্রাসার ১০ম শ্রেনীর ছাত্র। শনিবার (৩০ জুলাই) সকাল ১১ টা থেকে মাদ্রাসার অধ্যয়নরত ওই ছাত্র নিখোঁজ রয়েছে। এ ব্যাপারে নিখোঁজ ছাত্র মো: তানজিদের পিতা নুইন্যারপাড়ার মৃত জহির আহমদের পুত্র মো: মানিক ৩১ জুলাই রবিবার বিকেলে পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ পৌছান। স্থানীয় সুত্র জানায়, মো: মানিকের ছেলে মো:তানজিদ ৩০ জুলাই বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। নুইন্যারপাড়ার কামাল হোসেনের পুত্র মো: আরিফ ও একই এলাকার মৃত আলমগীরের পুত্র পারভেজ তানজিদকে ফুসঁলিয়ে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যান। ৩১ জুলাই (রবিবার) দুটি মুঠোফোন থেকে ফোন করে। তানজিদের মামা শিহাব উদ্দিনের মুঠোফোনে জানানো হয় তানজিদ আর বাড়িতে ফিরে যাবে না। তাকে না খোঁজতে বারণও করা হয়। একটি মুঠোফোন থেকে তানজিদ তার মামাকে বলছিলেন আমাকে কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমার মুঠোফোন তারা কেড়ে নিয়েছে। আমি আর যোগাযোগ করতে পারব কিনা সন্দেহ আছে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। এ বলে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেয়। পরবর্তীতে তার স্বাক্ষাত পেতে ওই মুঠোফোনে অনেকবার রিং করা হয়। কিন্তু সেটি বন্ধ থাকায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার স্বাক্ষাত পাওয়া যায়নি। তবে তানজিদের হাতেও এনড্্রয়েট মুঠোফোন সেট রয়েছে। সেটিও বন্ধ রয়েছে। তানজিদের পিতা মানিক জানান, পারভেজ ও আরিফ নামের দুই যুবক আমার ছেলেকে ফুঁসলিয়ে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যায়। এরা আমার প্রতিবেশী। ২ জনের বাড়ি নুইন্যারপাড়ায়। আমার শ্যালক শিহাব উদ্দিনকে ২/৩ বার ফোন করে। ছেলে কোন অবস্থায় আছে একমাত্র নিয়তিই জানেন। আমার ছেলে মগনামা মাদ্রাসার ১০ম শ্রেনীর ছাত্র। আমার সন্দেহ হচ্ছে তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। যে সব নাম্বার থেকে এখানে ফোন করা হয়েছে এ সব নাম্বারগুলি এখন বিকল। আমরা অনেক চেষ্টা করছি। তবে ছেলের সাথে আর যোগাযোগ করা যায়নি। গতকাল থেকে ছেলেকে কোথায় রাখা হয়েছে কোন অবস্থায় আছে সেটি আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। এখন আমার বাড়িতে ছেলের জন্য বেদনাদায়ক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ছেলের জন্য আমার স্ত্রী কান্নাকাটি করছে। আমার মেয়েরাও ভাইয়ের জন্য ব্যাকুল। পেকুয়া থানার এস,আই হেবজুর রহমান জানান, তানজিদের বাবা মানিক থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সন্ধ্যার দিকে আমিসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স দ্রæত মগনামায় গিয়ে এর ক্লু উদঘাটনের জন্য ব্যস্থতা অব্যাহত রাখি। আসলে এরা ৩ বন্ধু এক সাথে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। এখন ৩ জনেরই যোগাযোগ নেই। আমি এ বিষয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছি। উনাদের বলেছি পুলিশের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে। প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার কথাও বলেছি।