• সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
চকরিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা,টেন্ডারে অনিয়ম,দায়িত্ব অবহেলায় রোগীর মৃত্যুসহ ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ তুলে তার বদলির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন চকরিয়া হস্তশিল্প নারী উদ্যোক্তারা আঞ্চলিক গন্ডি পেরিয়ে একদিন সারাদেশে সমাদৃত হবে পেকুয়ায় খাস জমি থেকে বড় ভাইকে উচ্ছেদ পাঁয়তারার অভিযোগ পেকুয়ায় ভাবিকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার ঠাকুরগাঁও-এ রাম মন্দিরে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত বনভূমিতে পাঁকা ঘর হলো পাঁচটিঃ মামলা হল একটি; বাকী চারটি অদৃশ্য ফ্রিতে ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে যা জানালেন বেঁচে যাওয়া ঝিনাইদহের যাত্রী আক্তারুজ্জামান পেকুয়ায় আগুন দিয়ে পোড়াল ফার্মেসী শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার শঙ্কা আটলান্টিক পেরিয়ে আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না : প্রধানমন্ত্রী

ডুলাহাজারা কলেজ ও অধ্যক্ষের ভাবমুর্তি বিনষ্টে মিথ্যা অপপ্রচার প্রশ্নবিদ্ধ

জিয়াউল হক জিয়া, চকরিয়া / ১৮৬ Time View
আপডেট : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২

ভবিষৎ প্রজন্মকে শিক্ষিত মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউপির বাসিন্দা সর্বদলীয় ১৫জন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির উদ্যোগে ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়”ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজ।এটি চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন সবুজায়ন মনোরম পরিবেশে অবস্হিত। এই কলেজটির ঘাঁ-ঘেষে ৯শত হেক্টর জমিতে দর্শনার্থীর চোখ জুড়ানো পর্যটন নগর”বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সার্ফারি পার্ক”অবস্হান।

কলেজটির ১৫জন দাতা সদস্যের মধ্যে আ’লীগ, বিএনপি সহ অন্যান্য দলের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা জড়িত।তাই কলেজ প্রতিষ্ঠার পরে কলেজের শিক্ষারমান উন্নত করার লক্ষে সকলের সিদ্ধান্তক্রমে ছাত্র-রাজনীতি মুক্ত শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়তে সক্ষম হয়।হঠাৎ গত ২২জুলাই স্হানীয় “দৈনিক কক্সবাজার বার্তা”পত্রিকার মাধ্যমে কলেজ আর অধ্যক্ষের ২৫বছরের অর্জিত সুনাম বিনষ্টে উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ পরিবেশনে একজন ছাত্রনেতার ভুমিকা অন্যতম।
সংবাদটি প্রকাশের পর থেকে তীব্র নিন্দা ঝড় উঠেছে সর্বমহলে।

স্থানীয় এলাকাবাসী,অভিভাবক,সুশীল সমাজ,শিক্ষকমন্ডলী,শিক্ষার্থী ও সর্বদলীয় রাজনৈতিক নেতারা জানিয়েছেন,২৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠা লাভ করা কলেজের সুনাম রক্ষা,শিক্ষারমান উন্নয়ন,ছাত্র-রাজনীতি মুক্ত শিক্ষাঙ্গন,নিয়মিত পাঠদান,শিক্ষার্থীর উপস্হিতি নিশ্চিত করণে,যার অপ্রতুল ভুমিকা রয়েছেন।তিনি হলেন,কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।যার অক্লান্ত পরিশ্রমের সুফল হিসেবে দৃষ্টান্ত এইচ.এস.সির রেজাল্ট।অধ্যক্ষের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করণে কলেজটির দাতা সদস্যেরা একমত পোষণে আজ কলেজটির সুনাম কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।যে কারণে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীরা অধ্যায়ন করতে এসেছেন।
তারা আরো জানান,কলেজ ভিতরে যদি ছাত্র-রাজনীতি করার সুযোগ পায়।তাহলে শিক্ষার্থীদের মধ্য প্রতিনিয়ত মারামারি,হানাহানি,রক্তপাত,প্রতিহিংসা সৃষ্টি হয়ে পড়ালেখার ব্যাহত হবে।তাই সকলের সম্মতিক্রমে রাজনীতি মুক্ত শিক্ষাঙ্গন গড়ার প্রত্যয় এখনো ধরে রেখেছেন অধ্যক্ষ।এটি কখনো,কোন সময়,বিনষ্টের পথে যেতে দেওয়া হবে না।যে বা যারা কলেজ আর অধ্যক্ষের সুনাম বিনষ্টে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।আমরা আহবান জানাচ্ছি,শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপনার ষড়যন্ত্র বন্ধ করুণ।না হয় আমরা সবাই মিলে এর বিহীত ব্যবস্হা নিতে বাধ্য হব বলে জানিয়েছেন।
ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন,১৯৯৭সালে যখন আমরা ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজটি প্রতিষ্ঠা করি।তখন আমি ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বরত ছিলাম।কেবল দাতা সদস্য সকলের সিদ্ধান্ত মতে,কলেজটির সুনাম আর শিক্ষারমান বাড়ানোর লক্ষে,কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধ করি এবং তা আমি কলেজের প্রধান হিসেবে বাস্তববায়ন করি।২৫ বছরের মধ্যে কোন দলের ছাত্র-রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়নি।যে কারণে আমার কলেজের ঝরে পড়া গ্রামাঞ্চলের মেধাবী,দুর্বল শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করতে সক্ষম হচ্ছে।২৫ বছরের ভিতরে কলেজটি সুনাম বিনষ্টে কেউ সাহস করনি।হঠাৎ কলেজের সুনাম বিনষ্টে পরিবেশ বিধ্বংসী এক স্বার্থন্বেষী ছাত্রনেতার আর্বিভাব।যার সুশিক্ষার মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন জাগে মোর বা মোদের।
কারণ কলেজ আর আমাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা ছাত্রনেতা বলেছেন,কলেজটিতে নাকি বিএনপি,জামায়াতের আগ্রাসন বেড়েছে।যার কোন প্রমাণ আর দৃষ্টান্ত নেই।এক সময় ডুলাহাজারা কনকর্ট ছাত্র এসোসিয়েশন উদ্যোগে কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্মাননা স্মারকের ক্রেষ্ট বিরতণ করেছিল।এসময়ে কলেজের সভাপতি ছিলেন,জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম।
তিনি আরো জানান,কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অতিথি হিসেবে যারা এসেছিলেন,প্রিরিয়ড অনুসারে আ’লীগ সরকারের বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী খ.ম.জাহাঙ্গীর হোছাইন তিনবার এসেছেন।গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন,বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাজেদা চৌধুরী,ভুমি-প্রতিমন্ত্রী রাশেদ মোশারফ,বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদের লিখিত সুপারিশে কলেজের নামে ৫একর জমি বন্দোবস্তি পায়।এছাড়াও ২২সালের ঈদ পূণমিলনী উপলক্ষে এসেছেন,শিক্ষা-উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল,বিএনপি সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়াও কলেজটির সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন বা করছেন,জাতীয় পার্টির চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক এমপি মোঃ ইলিয়াছ,বিএনপি’র সাবেক এমপি হাসিনা আহমেদ,জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম,জেলা ও উপজেলার কর্মরত প্রশাসনিক প্রধান কর্মকর্তাগণ সহ বর্তমানে দায়িত্বে আছেন,সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম চৌধুরী।
কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতির দায়িত্ব পালনেও কোন সভাপতি এপর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে ছাত্র-রাজনীতি করার জন্য কোন দলকে অনুমতি দেয়নি।সকলেই জানে ১৯৭৩সনে আমার ভাই ডাঃ শামশুদ্দিন চকরিয়াতে আ’লীগের এমপি ছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো ক্যাটাগরি