কক্সবাজারের পেকুয়ায় চাঞ্চল্যকর ‘জাফর আলম’হত্যাকান্ডে আসামিরা এখনো অধরা রয়েছে। হত্যাকান্ডের এগারো দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নাগাল পায়নি। এনিয়ে চরম হতাশা ও উৎকন্ঠায় দিনাতিপাত করছে বাদির পরিবারের লোকজন। এমনটি দাবী করেন নিহতের স্ত্রী ও মামলার বাদি মনোয়ারা বেগম।
জানাগেছে, গত ২৫ জুলাই আদালতে মামলার হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী জাফর আলমকে প্রকাশ্যে নির্দয় পিটিয় হত্যা করে। জাফর আলম বারবাকিয়া ইউনিয়নের (ইউপি) পাহাড়িয়াখালী এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার দুদিন পরে জাফর আলমের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে ২০ জনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তবে অভিযোগ ওঠেছে ওই মামলায় অন্তত ৮/১০জন নিরাপরাধ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এতে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ। তাদের দাবী পুলিশ প্রশাসনকে মোটাংকের ম্যানেজ করে নিরাপরাধ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তবে ওসি মোহাম্মদ ফরহাদ আলী জানিয়েছেন,বাদি যেভাবে এজাহার জমা দিয়েছে সেমতে মামলা রেকর্ড হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা না পেলে নিরাপরাধ ব্যক্তিদের মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হবে।
বাদি মনোয়ারা বেগম জানায়,আমার স্বামীকে ছনখোলারজুম ষ্টেশনের সামনে পিটিয়ে হত্যা করে। এখনো একটা আসামিও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ভয় ও উৎকন্ঠায় দিন পার করছি।
মামলার কয়েকজন আসামি বলেন,আমরা নিরাপরাধ। ঘটনার সাথে বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। বারবাকিয়ায় ঘটনা হলেও আসামি হয়েছে কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এমনকি প্যারালাইজড রোগিকেও আসামি করা হয়েছে। বাদি ও পুলিশকে একটি শক্তিশালী পক্ষ ম্যানেজ করে আমাদের আসামি করেছে।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফরহাদ আলী বলেন,গভীর শতর্কতার সহিত মামলা তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশের অভিযান অব্যহত আছে।