কক্সবাজারের পেকুয়ায় ১০ শতক জমি নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কুঁড়েঘর তৈরী করে গভীর রাতেই জমিতে অনুপ্রবেশ করেছে দুবৃর্ত্তরা। জমি জবরদখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্ধ প্রকট আকার ধারণ করেছে। ২ আগষ্ট (মঙ্গলবার) রাত ১২ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটা গ্রামে এবিসি সড়কের নিকটে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, ১০ শতক জমি নিয়ে বারাইয়াকাটার মৃত আবুল কাসেমের পুত্র ও ফাঁসিয়াখালী কামিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী নুরুল মিজবাহ ও একই এলাকার মৃত ফকির মোহাম্মদের পুত্র আবুল হোছাইন গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ওই ১০ শতক জায়গা চলতি বছরে রেজিষ্ট্রি সম্পাদন হয়েছে। আবুল হোছাইন গং ওই জায়গা ৫২৩ ও ১৫৬০ নং দলিলমুলে বিক্রি করেন। চলতি বছরে ১০ শতক জায়গা নুরুল মিজবাহর স্ত্রী জোছনা আক্তার ও তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নাছিমা আক্তারের নামে খরিদ করেন। বর্তমানে খরিদকৃত জমিতে জমাভাগ প্রচার আছে। যার সৃজিত বিএস ৫০২২। এ দিকে চলতি বর্ষা মৌসুমে জমিতে আমন ফসল উৎপাদনের জন্য কাজ চলছিল। আমন ফসল ফলাতে নুরুল মিজবাহ গং জমিতে চাষাবাদ প্রস্তুতি শুরু করছিলেন। তবে ঘটনার দিন দিবাগত রাত ১২ টার পরে মৃত ফকির মোহাম্মদের পুত্র আবুল হোছাইনসহ ১০/১২ জনের দুবৃর্ত্তরা অনুপ্রবেশ করে। জবরদখল কুমানসে ওই চক্র গভীর রাতে জমিতে একটি কুঁড়েঘর তৈরী করে ফেলে। তারা পলিথিনের ছাউনি ও বস্তার ছট দিয়ে বেড়া দিয়ে একটি ক্ষুদ্র ঘর বেঁেধ ফেলেছে। ঘরের নিচে ঘুমানোর ও বসানোর মত পরিস্থিতি নেই। সেখানে ঘরের তলায় মাটি নেই। জমিতে পানি। পানির মধ্যে ঘরটি করা হয়েছে। বারবাকিয়া, পেকুয়া সদর পারাপার ভোলাখালের উপর নির্মিত সেতুর নিকটে ওই জায়গাটির অবস্থান। জায়গাটি অধিক মূল্যবান হওয়ায় লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে আবুল হোছাইন গংদের। তারা রাতে ভাড়াটে লোকজনসহ আতংক ছড়িয়ে জায়গাটি জবর দখলে নিয়েছে। জায়গার মালিক জোছনা আক্তারের স্বামী নুরুল মিজবাহ বলেন, ওই জায়গা আমার স্ত্রী ও আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর মালিকানাধীন সম্পত্তি। তাদের বাবা ও দাদারা সম্পত্তি কবলা দিয়েছেন। গতিবিধি একটু সন্দেহজনক ছিল। আমি পেকুয়া থানায় ২৫ ফেব্রæয়ারী লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। তবে এ সব না মেনে ২ আগষ্ট গভীর রাতে আবুল হোছাইন গং সেখানে কুঁড়েঘর তৈরী করে ফেলেছে। পেকুয়া থানার ওসি ফরহাদ আলী জানান, অভিযোগের কপি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।