কক্সবাজারের পেকুয়ায় খোঁজ নেই মাদ্রাসার অধ্যয়নরত ছাত্র মাহামুদুল করিম বাপ্পী (১২)। প্রায় ২৭ ঘন্টা অতিবাহিত হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট পর্যন্ত কোথাও তার হদিস পাওয়া যায়নি। ৫ আগষ্ট (শুক্রবার) বিকেল ৫ টা থেকে ওই ছাত্র নিখোঁজ রয়েছে। মাহমুদুল করিম বাপ্পী উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামা মছন্যাকাটার সৌদি প্রবাসী ফজল কাদেরের ছেলে। এ ব্যাপারে ওই শিক্ষার্থীর মা রেনুয়ারা বেগম পেকুয়া থানায় সাধারন ডায়েরী লিপিবদ্ধ করতে আবেদন প্রেরণ করেন। প্রাপ্ত সুত্র জানা গেছে, ৫ আগষ্ট (শুক্রবার) উত্তর মেহেরনামা মছন্যাকাটার ফজল কাদেরের পুত্র ও পেকুয়া সদর সরকারীঘোনা হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা (রা:) হেফজখানার ছাত্র মাহমুদুল করিম বাপ্পী নিখোঁজ হন। মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য নিজ বাড়ি থেকে বের হন বাপ্পী। এরপর থেকে ছেলেটি নিখোঁজ রয়েছে। সুত্র জানায়, ১ আগষ্ট মাদ্রাসা থেকে ছুটি নেওয়া হয়। ৪ দিন পর ছুটি শেষে ওই দিন নিজ বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে বের হয়েছিলেন। রাতের দিকে মাদ্রাসার পরিচালককে বিষয়টি অবহিত করা হয়। এ সময় মাহমুদুল করিম বাপ্পী মাদ্রাসায় যাননি বলে পরিচালক তার স্বজনদের জানান। এরপর থেকে তাকে নিয়ে খোঁজাখুজি চলছিল। মাহমুদুল করিম বাপ্পীর মা রেণুয়ারা বেগম আমার ছেলে সরকারীঘোনা হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা হেফজখানায় নাজারা পড়ছিলেন। ৪ দিন ছুটি নিয়ে বাড়িতে ছিল। ৫ আগষ্ট বিকেলে বের হয় মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য। আমি রাতে আমজাদ হোসেন নামক ওই মাদ্রাসার একজন শিক্ষককে ফোন দিয়েছিলাম। তবে তিনি আমার ছেলে বাপ্পী মাদ্রাসায় যায়নি বলে আমাকে বলেছেন। ছেলের পরনে পাঞ্জাবী ও লুঙ্গি ছিল। বাপ্পীর বড় ভাই কক্সবাজার সরকারী কলেজের অনার্সের ছাত্র ইসমাইল ফাহিম জানান, আমার ভাইকে কাল থেকে পাওয়া যাচ্ছেনা। চাচী জোবাইদা বেগম বলেন, আমরা চিন্তিত হয়ে গিয়েছি। তাকে পাওয়া যাচ্ছেনা। পেকুয়া থানার ডিউটি অফিসার ও পেকুয়া থানার এস,আই শেখ ফরিদ জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। জিডির প্রক্রিয়াধীন। সংবাদটি আমরা সারা বাংলাদেশের পুলিশ ষ্টেশনে পৌছিয়ে দেব।